বিশ্বকাপের প্রথম বিগ ম্যাচে আর রাতে মুখোমুখি হবে পর্তুগাল ও স্পেন। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সাথে লড়াই হবে রামোস-ইনিয়েস্তাদের। একই সাথে ২০১০ বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ীদের সাথে ২০১৬’র ইউরো চ্যাম্পিয়নদের। ম্যাচটি শুরু হবে রাত ১২ টায়।
কাগজে কলমে রাশিয়া বিশ্বকাপের প্রথম হাইভোল্টেজ ম্যাচ। ২০১০ র বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন স্পেন ভার্সেস ২০১৬ ইউরো চ্যাম্পিয়ন পর্তুগাল। এই দুই দলের ফুটবল দ্বন্দ্ব সেই ১৯২১ সাল থেকে চলছে। ইতিহাসে দুই দল মুখোমুখি হয়েছে ৩৫ বার। ১৮ বার জিতেছে স্পেন, ৯ বার পর্তুগাল। ড্র হয়েছে ১২ বার। শেষ ৪ খেলায় তিন বার জিতেছে স্পেন। তবে এদিকে বাছাইপর্বের ১০ টি ম্যাচে পর্তুগাল কেবল একটিতেই হেরেছে। তাই পর্তুগালকে নিয়ে হেলাফেলা করার উপায় নেই।
এদিকে উত্তেজনার পারদে ঘি ঢেলে দিয়েছে শেষ মুহুর্তে স্পেনের কোচ ইস্যু। ম্যাচের ৪৮ ঘন্টা আগে লোপেতেগুই এর বহিষ্কার, রিয়াল-বার্সার বিভাজন পরিষ্কার করেছে স্পেন দলে। তবে সব ছাপিয়ে ২০১০ বিশ্বচ্যাম্পিনরা প্রস্তুতি সোচিতে দাপট দেখাতে।
স্প্যানিশ স্কোয়াডে নেই তারকার কমতি। এবারের বিশ্বকাপে বাছাই পর্বে একমাত্র ইটালির সাথে ম্যাচ ড্র করা ছাড়া কোন হার নেই তাদের। গোলের দিক থেকে সর্বোচ্চ ৫টি করে গোল আসে ইসকো আর দিয়াগো কস্তার পা থেকে।
সার্জিও রামোস, ইনিয়েস্তা, দিয়াগো কস্তা, দলের সবাই পরিচিত মুখ। তবে ২৬ বছর বয়সী ইসকো রয়েছেন ফর্মের তুঙ্গে। বাছাই পর্বে স্পেইনের মূল কান্ডারি ছিলেন এই মিডফিল্ডার। ২৮ ম্যাচে মাত্র ১০ গোল করলেও, গোল করার আর করানো দুটিতেই পারদর্শি এই প্লেমেকার। প্রস্তুতি ম্যাচে আর্জেন্টিনার সাথে ৬-১ গোলের জয়ে হ্যাটট্রিক করে বুঝিয়ে দিয়েছেন স্পটলাইটে তিনিই। তবে আলো কেড়ে নিতে পারে আসেনসিয়ো ও ডেভিড সিলভাও।
রোনালাদো যদি পর্তুগালে ট্রাম্পকার্ড হয়, তবে স্পেনের ওভারট্রাম্প হতে পারেন সার্জিও রামোস। এমন রক্ষনের সাথে লা রোহাদের শক্তির জায়গা মিডফিল্ড। সার্জিও বুসকেটস, ইনিয়েস্তা, সিলভা ইসকো আর এসেনসিও নিয়ে গড়া মধ্যভাগ কাঁপন ধরাতে পারে যেকোনো দলের। তবে সেই মিডফিল্ডারে সাথে সেতু গড়ে, গোল করতে পারে এমন ফিনিশারের অভাব ভোগাতে পারে দলটিকে।
কোচ স্পেন ফারনান্দো হিয়েরো বলেন, কোন কিছুই বদলায়নি। সব কিছু আগের মতোই আছে। আমাদের লক্ষ্য একই আছে। আমরা প্রতিটি ম্যাচেই ফাইনালের মত খেলতে চাই।
সেই আক্রমণ ভাগেই আবার ম্যাচের সব আলো একাই কেড়ে নেয়ার সামর্থ্য রাখে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালাদো। পর্তুগালের এই প্রানভোমরার সাথে থাকবেন সিলভা-জেলসন মার্টিনসরা। কিন্তু সেন্ট্রাল ডিফেন্স ভোগাতে পারে পর্তুগিজদের। পেপের বুড়োহারের সাথে ফর্মহীন ব্রুনো কিংবা ফন্তে কতোটা চ্যালেঞ্জ জানতে পারবে, সেই প্রশ্ন থাকছেই। তবে ২০১৬ র ইউরো শিরোপা বড় প্রেরণা পর্তুগিজদের জন্য। ৪-৪-২ ফরমেশনে কৌশল সাজাতে পারেন ফার্নান্দো সান্তোস।
পর্তুগালের কোচ ফারনান্দো সান্তোস বলেন, আমরা এই ম্যাচের জন্য শারিরিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুত। আমরাও পিছিয়ে নেই। আমরা আমাদের সব প্রতিপক্ষকে সম্মান করি তবে মাঠে জয়ের ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।
২০১০ বিশ্বকাপে এই স্পেনের বিপক্ষে ১-০ গোলের হারের ক্ষত আছে পর্তুগালের। সেই ডেভিড ভিলা এখন নেই। বদলে গেছে সমীকরণও। নিজেদের প্রথম ম্যাচের পরিসংখ্যানেও সুখববর নেই স্পেনের। ১২ ম্যাচের মাত্র দুটিতে জিতেছে লা রোজারা।
Leave a reply