ঝালকাঠিতে শিক্ষিকার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, খুন নাকি আত্মহত্যা?

|

ঝালকাঠির কৃষ্ণকাঠির টাইগার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা সুলতানা জাহান মুনার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার। শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শহরের ব্রাকমোড়ে একটি ভাড়া করা বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এলাকাবাসী জানায়, তার স্বামী ফরিদুল ইসলামের সাথে ৩ মাস আগে তার ডিভোর্স হয়। তারপর সুলতানা জাহান মুনা তার ৮ বছরের একটি কন্যা সন্তান নিয়ে ব্রাক মোড়ে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস শুরু করেন।

ডিভোর্সের পর স্বামী, মেয়ের মায়ায় পড়ে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর সাথে দেখা করে আবার তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। পরে একসাথে বেড়াতে যান।

তারা পরেদিন ফিরে আবার শরিয়াহ মতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার ঘোষণা দেয়। কিন্তু ডিভোর্স দেয়া স্বামী ঝালকাঠি এসে মত পাল্টিয়ে ফেলেন। স্ত্রীর বিবাহের রেজিস্ট্রি করার জন্য ফরিদের কর্মস্থল ডাচ বাংলা ব্যাংকে গিয়ে শুনেন ফরিদ ছুটি নিয়ে ঢাকা চলে গেছে।

এরপর সুলতানা জাহান মুনি প্রাক্তন স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য থানায় অভিযোগ দিলে থানা কর্তৃপক্ষ তার সাথে খারাপ আচরণ করে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

সুলতানা জাহান মুনি থানা থেকে বের হয়ে এক সাংবাদিকের দ্বারস্থ হন। স্বামী ফরিদুলের ঘটনা খুলে বলে। থানায় অভিযোগ দিতে গেলে পুলিশের আচরণের ঘটনা বর্ণনা করে। সেই সাংবাদিক সুলতানা জাহানের সামনে প্রাক্তন স্বামী ফরিদুলকে কল দেয়। ফরিদুল সাংবাদিককে জানায়, তাকে দ্বিতীয়বার বিয়ে করা সম্ভব নয়।

এই ঘটনার পরের দিনই স্কুল শিক্ষিকার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার হয়।

/এনএএস


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply