প্রেমিকের অন্যত্র বিয়ের সংবাদে প্রেমিকার আত্মহত্যা

|

ছবি: প্রতীকী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, রংপুর:

রংপুর মহানগরীর কামারের মোড় এলাকার একটি ছাত্রী নিবাস থেকে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের শাহনাজ নামের এক ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের উদ্ধৃতি দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, প্রেমিকের বিয়ের সংবাদে বিস্মিত হয়ে আত্মহত্যা করেছেন ওই শিক্ষার্থী।

রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (এসআই) ইজার জানান, শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাত এগারোটার দিকে খবর পেয়ে কামারের মোড় এলাকার আজিজুল হক ছাত্রী নিবাসের একটি কক্ষে ফ্যানের সাথে ওড়না দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি, মেস মালিক সমিতির সভাপতি ও অন্যানাদের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে শাহনাজের ঝুলন্ত লাশ নামানো হয়। ওই শিক্ষার্থীর মা-বাবাকে খবর দেয়া হয়েছে। তারা আসলে বাকি ফরমালিটি সম্পন্ন করা হবে। তার বাড়ি গাইবান্ধা সদর উপজেলার দক্ষিণ ঘাগোয়া গ্রামে।

পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, আলামত হিসেবে এখন পর্যন্ত কোনো সুইসাইডার নোট তারা ওই ঘরে পাননি। তবে বান্ধবী, পরিবার এবং মেসের অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, শাহনাজের গ্রামের বাড়ির দিকে একজনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। প্রেমিকের বিয়ে করার খবর পেয়ে সে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। এ ঘটনায় আরও তদন্ত করা হচ্ছে। পুরো বিষয়টি তখন জানা যাবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গোলাম রব্বানী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে এমন খবর পেয়ে প্রক্টরিয়াল বডিসহ ঘটনাস্থলে যাই। পরে পুলিশকে খবর দিলে তারা গিয়ে লাশ নামায়। পুলিশকে এ ঘটনার সব ফর্মালিটি পূরণ করে লাশ হস্তান্তরের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। ওই শিক্ষার্থীর নাম শাহনাজ আক্তার মুন্নি। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সাইন্স বিভাগের ১০ম ব্যাচের শিক্ষার্থী।

আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে নববধূর আত্মহত্যা

ছাত্রী নিবাসটির অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা জানান, শনিবার বেলা ৩টা থেকে শাহনাজের রুমের দরজা বন্ধ ছিল। বিকেল পেরিয়ে রাত হলেও শাহনাজ দরজা না খোলায় রাত সাড়ে ৮টায় থেকে বান্ধবীরা দরজায় নক করেন। কিন্তু সাড়া না পেয়ে জানালা দিয়ে দেখতে পান শাহনাজ ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলছে।
প্রিয় সহপাঠীকে এভাবে ঝুলতে দেখে সাথে সাথেই দুই শিক্ষার্থী জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও বিভাগটির বিভাগীয় প্রধানের উপস্থিতিতে পুলিশ গিয়ে ওই শিক্ষার্থীর লাশ ফ্যান থেকে নামায়।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply