হনুমানি মুদ্রার নামে প্রতারণা, দুই প্রতারক গ্রেফতার

|

পঞ্চগড় প্রতিনিধি:

নকল হনুমানি মুদ্রা বিক্রি করে প্রতারণা করায় দুই প্রতারককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার আটোয়ারী থানা পুলিশের বারঘাটি তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ সদস্যরা তাদের গ্রেফতার করেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, আটোয়ারী উপজেলার দারখোর গ্রামের করিম উদ্দিনের পুত্র সাইফুল ইসলাম (২২), এবং ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া থানার মধুপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে আবু সাইদ (৩৫)।

শনিবার সকালে হনুমানি মুদ্রা ক্রেতা অতুল সরকার বাদী হয়ে প্রতারণার অভিযোগ এনে দু’জনের বিরুদ্ধে আটোয়ারী থানায় মামলা দায়ের করলে শনিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাদের দু’জনকে জেলহাজতে পাঠানো হয়। পঞ্চগড় চিফ জুডিশিয়াল আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অলরাম কাজী তাদের জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেয়।

মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দারখোর এলাকায় গুঞ্জন রয়েছে সাইফুল ইসলাম হনুমানি মুদ্রার ব্যবসা করেন। বিভিন্ন সময়ে তার বাড়িতে বিভিন্ন জেলার লোকজন আসেন। সাইফুলের সাথে রুহিয়া থানার আবু সাইদের সাথে যোগসাজশ রয়েছে। এরই মাঝে ঠাকুরগাঁও জেলার আবু সাইদের সাথে অতুল সরকারের পরিচিত হওয়ায় অতুলকে ‘অলৌকিক’ হনুমানি মুদ্রা ক্রয়ের প্রস্তাব দেয়। এরপর গত ২২ আগস্ট ঠাকুরগাঁও জেলার রুহিয়া এলাকার অতুল সরকার ও আবু সাইদ দু’জনে রুহিয়া থেকে হনুমানি মুদ্রা কিনতে আটোয়ারী উপজেলার দারখোর গ্রামে প্রতারক সাইফুলের বাড়িতে আসেন। সাইফুলের বাড়িতে হনুমানি মুদ্রার মাধ্যমে বাটিতে মুদ্রা রেখে দুধ শুষে নেয়া, চিনির মাঝে মুদ্রা দিয়ে চিনিকে তরল করা এবং চাউল ভর্তি বাটিতে মুদ্রাটি রেখে চুম্বকের আকর্ষণ শক্তি হয় এমনিভাবে হনুমানি মুদ্রার ‘অলৌকিক ক্ষমতা’ দেখায় সাইফুল। ওই দিনই কথিত নকল মুদ্রাটি অতুল সরকারের কাছে ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন সাইফুল। এরপর অতুল ওই মুদ্রাটি বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে ওই মুদ্রা দিয়ে পরীক্ষা করে দেখেন মুদ্রাটি কোনো অলৌকিক ক্ষমতা দেখাচ্ছে না। পরে অতুল সাইদ ও সাইফুলকে খুঁজতে থাকেন। একপর্যায়ে গত শুক্রবার অতুল সাইফুলকে খুঁজতে তার বাড়িতে যান। প্রতারক সাইফুল তার সহযোগী সাইদ এবং অতুল সরকারের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এ সময় অতুল গোপনে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে সাইফুল ও সাইদকে গ্রেফতার করে। সেই সাথে সাইফুলের কাছ থেকে ১৬ হাজার টাকা উদ্ধার করে পুলিশ।

আটোয়ারী থানার ওসি সোহেল রানা জানান, সাইফুল ও তার সহযোগী আবু সাইদকে আটকের পর গ্রেফতার দেখানো হয়। সাইফুল একজন প্রতারক। সে দীর্ঘদিন থেকে হনুমানি মুদ্রা দেখিয়ে বিভিন্ন জনের সাথে প্রতারণা করে আসছিল। অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে এই চক্রের সাথে সাইফুল ছাড়া আর কেউ জড়িত আছে কিনা ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply