রমজানের দীর্ঘ সিয়াম সাধনার পর শুক্রবার সন্ধ্যায় আকাশে দেখা মেলে শাওয়ালের সরু–বাঁকা চাঁদের। এলো খুশির ঈদ। এ দিনটি সকল ভেদাভেদ ভুলে কাঁধে কাঁধ মেলানোর। ভ্রাতৃত্ববোধের জায়গা থেকে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়ার, দুঃখে পাশে দাঁড়ানোর।
এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
ঈদের দিনের শুরুতেই থাকে জামাতের সাথে ঈদের নামাজ আদায়। এজন্য, প্রস্তুত বিভিন্ন ঈদগাহ। এবার বর্ষাকালে হচ্ছে ঈদ। তাই বৃষ্টি বা দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া সেখানে প্রতিবন্ধকতা হিসেবে দাঁড় হতে পারে। সেজন্য অবশ্য বিকল্প ব্যবস্থা রাখা হয়েছে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে।
নামাজের পরপরই ঈদগাহগুলোতে চিরচেনা এবং কাঙ্ক্ষিত দৃশ্যের অবতারণা হবে। প্রত্যেক মুসলমান একে অপরের সঙ্গে কুশল বিনিময় করবেন। শ্রেণি-বর্ণ-বয়স নির্বিশেষে কোলাকুলির মাধ্যমে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনের এক মধুর বহিঃপ্রকাশ।
নতুন কেনা পোশাক-জুতা বা অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে শিশুদের আনন্দের মাত্রা হয়তো একটু বেশিই থাকবে। এর মাঝেও অর্থাভাবে অনেক শিশুর ভাগ্যে জুটবে না ঈদের কাপড়, ভালো খাবার। ভালোবেসে সামর্থ্যবানরা তাদের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করে নিবেন, এটাই ঈদের মূল সুর।
নামাজের পর বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, বিরোধী দলীয় নেত্রী ও রাজনৈতিক অঙ্গনের নেতারা। এদিকে ঈদে সরকারি ভবনগুলোতে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। রাজধানীতে বনানী থেকে বঙ্গভবন পর্যন্ত প্রধান সড়কগুলোও ঈদ মোবারক খচিত ব্যানার দিয়ে সাজানো হয়েছে। ঈদের আনন্দ সবার সঙ্গে ভাগ করে নিতে হাসপাতাল, এতিমখানা ও কারাগারে উন্নত খাবার পরিবেশন করা হবে।রেডিও, টেলিভিশনগুলোতে আয়োজন করা হয়েছে বিশেষ অনুষ্ঠানমালার।
যমুনা অনলাইন: টিএফ
Leave a reply