কাতার বিশ্বকাপে মদ্যপান নিষিদ্ধ করেছে বিশ্বকাপ আয়োজক কমিটি। কিন্তু ফিফার সাথে আলোচনার পর কিছুটা শিথিলতা আনা হয়েছে সেই আইনে। ম্যাচ শুরুর আগে ও পরে স্টেডিয়ামের বাইরে একটি নির্দিষ্ট দোকান থেকে অ্যালকোহল ফ্রি বিয়ার কিনতে পারবেন দর্শকরা। যদিও এ নিয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানায়নি বিশ্বকাপ আয়োজক কমিটি।
ফুটবলপ্রেম নাকি মানুষের জীবনের বিষণ্ণতা দূর করে। স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখাকালীন সেই ৯০ মিনিট পৃথিবীর সব জরাজীর্ণ থেকে দূরে থেকে পূর্ণ আনন্দে উপভোগ করতে চান ফুটবলপ্রেমীরা। ইউরোপের স্টেডিয়ামগুলোতে সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই দর্শকদের খেলা দেখাকালীন সময়ে বিয়ার খাওয়ার অনুমতি আছে। সে কারণে, সিংহভাগ ফুটবলপ্রেমীদের বিয়ারের সাথে প্রিয় দলের খেলা দেখা একটি ভিন্ন অনুভূতি।
কিন্তু এবারের কাতার বিশ্বকাপে সেই আনন্দ থেকে হয়তো বঞ্চিত হতে হবে সুরাপ্রেমীদের। কাতারের আইন মোতাবেক দেশটিতে মদ নিষিদ্ধ। মদের কোনো দোকানও নেই কাতারে। স্টেডিয়ামেও খেলা দেখতে আসা দর্শকদের তাই মদ্যপান নিষিদ্ধ। এ নিয়ে অবশ্য কাতারে বিশ্বকাপ আয়োজন কমিটির সাথে একাধিকবার আলোচনা করেছে ফিফা। এর পেছনে ফিফার স্পন্সর বিয়ার কোম্পানি বাডওয়াইজারের চাপও ভূমিকা রেখেছে। এরপরেই কিছুটা শিথিল করা হয়েছে কাতারের আইন।
ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে ও পরে ৩০ মিনিট করে স্টেডিয়ামের বাইরে একটি দোকানের ব্যবস্থা করা হবে, যেখানে কিছু কোমল পানীয় ও অ্যালকোহোল ফ্রি বিয়ার কিনতে পারবে দর্শকরা। কিন্তু স্টেডিয়ামের ভেতরে বিয়ার নিয়ে যাওয়া যাবে না। স্টেডিয়ামের বাইরে এক হাজার দর্শকের স্থান সংবলিত দুইটি স্থানের ব্যবস্থা করবে আয়োজক কমিটি। সেখানে বিয়ার খেতে খেতে খেলা দেখতে পারবেন দর্শকরা।
যদিও এ সিদ্ধান্ত এখনও চূড়ান্ত করেনি বিশ্বকাপ আয়োজক কমিটি। কারণ, কাতার স্টেডিয়ামের কোমল পানীয় পণ্যের স্পন্সর কোম্পানি বাডওয়াইজার অন্য প্রতিষ্ঠানের বিয়ার বিক্রির অনুমতি দেবে কিনা এ নিয়েও চলছে আলোচনা। ফিফা থেকে জানানো হয়, কাতার দেশটির আইনে আঘাত না করে ফুটবলপ্রেমীদের উপভোগের জায়গায় যথেষ্ট ছাড় দেয়ার চেষ্টা করছে তারা।
/এম ই
Leave a reply