আজ সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে ভারতের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার এই ভারত সফর ‘নিয়মিত ও স্বাভাবিক’ বলে মনে করেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা। তাই এই শীর্ষ সফর নিয়ে বাড়তি প্রত্যাশা না করার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।
তবে নির্বাচনের আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সাথে এই বৈঠকের রাজনৈতিক গুরুত্ব আছে বলে মত তাদের। বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নিয়ে দিল্লির কোনো অসন্তোষ থাকলে তা দূর করার ক্ষেত্রে এই শীর্ষ সফর বড় প্রভাবক হতে পারে বলেও মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
করোনার মধ্যে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানে ঢাকা এসেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তারপর এই প্রথম দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন উপমহাদেশের শীর্ষ দুই নেতা।
বাংলাদেশের চারদিকে ভারতের অবস্থান। চার হাজার বর্গকিলোমিটারের বেশি স্থল সীমান্ত ছাড়াও দু’দেশের মধ্যে প্রবাহিত অভিন্ন অর্ধশতাধিক নদী। নানা কারণে তাই পারস্পরিক নির্ভরতা ঢাকা ও দিল্লির। এমন অবস্থায় শীর্ষ দুই নেতার বৈঠকে স্বভাবতই প্রাধান্য পাবে অর্থনীতি বিশেষ করে জ্বালানি খাতে সহযোগিতার বিষয়টি। বাংলাদেশের আগ্রহের জায়গায় তিস্তা অগ্রাধিকার পেলেও সেই চুক্তি যে এবারো হচ্ছে না তা নিশ্চিত। কুশিয়ারার পানিবন্টনসহ রেল যোগাযোগ ও ব্যবসা বাণিজ্য নিয়ে চূড়ান্ত হয়েছে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক, সেগুলো সই হবার কথা। এই সফর নিয়ে তাই অতিরিক্ত প্রত্যাশা না করার পরামর্শ।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন বলেন, শীর্ষ বৈঠক থেকে বড় ধরনের কিছু আশা করা যায় না। তিস্তা চুক্তি আমাদের একটি আকাঙ্ক্ষার জায়গা। এটা চুক্তির সম্ভাবনা না থাকলেও বাংলাদেশের তাগিদ থাকবে এটা নিয়ে আলোচনা করার।
গত এক যুগে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে বলে মনে করেন দু’দেশের নীতিনির্ধারকরা। একই সময় বাংলাদেশের ব্যবসা বাণিজ্য বিনিয়োগ তথা অর্থনীতিতে বেড়েছে চীনের উপস্থিতিও। ঢাকা-বেইজিং সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে দিল্লির ‘অস্বস্তি’ বহুল আলোচিত। যদিও এ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি ভারত।
সামরিক খাতেও চীনের মতো ভারতের সাথেও বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠতা বাড়তে পারে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।
/এনএএস
Leave a reply