নিজের শখ পুরণ ও গ্রামীণ কাঁচা রাস্তার ঝক্কি এড়িয়ে সময়মতো স্কুলে যেতে ঘোড়াকে বাহন হিসেবে বেছে নিয়েছেন রাজশাহীর বাগমারার স্কুল শিক্ষক লাল মোহাম্মদ। গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ে পাঠদানকারী এই শিক্ষকের এমন উদ্যোগকে অনেকেই পরিবেশবান্ধব ও জ্বালানী সাশ্রয়ের উদাহরণ হিসেবেও দেখছেন। এ নিয়ে এলাকায় আলোচনার অন্ত নেই। অনেকেই দেখতেও আসেন তার ঘোড়ার পিঠে চেপে যাতায়াত।
ঘোড়ার প্রতি এই শিক্ষকের রয়েছে আলাদা দুর্বলতা। তাই আলোচনা সমালোচনার তোয়াক্কা না করে, এভাবেই তার নিত্য যাতায়াত বাড়ি থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে বাগমারার উত্তর জামালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
শিক্ষক এটিএম লাল মোহাম্মদ বলেন, এই দিকের রাস্তা অনেক খারাপ। আমি সময়মতো বিদ্যালয়ে পৌঁছাতে পারি না। আমার খুব বেশি টাকা নাই। ঈদের বোনাসের টাকায় আমি ঘোড়াটা কিনেছি।
বাগমারার নানছোর গ্রামের বাসিন্দা লাল মোহাম্মদের দাবি, বাড়ি থেকে বিদ্যালয় পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা। শুকনো মৌসুমে প্রচলিত বাহনে সহজে যাতায়াত করা গেলেও বর্ষায় হয়ে পড়ে কষ্টকর। সেকারণে প্রায় দেড় বছর ধরে তিনি যাতায়াত করছেন ঘোড়ায় চেপে।
স্কুলের শিক্ষকরা জানিয়েছেন, গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ে পাঠদান করা লাল মোহাম্মদ স্কুল পৌঁছান যথা সময়ে। এ নিয়ে প্রতিবেশীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া থাকলেও সবসময় স্ত্রী সন্তানদের উৎসাহ পান তিনি সবসময়।
১৯৮৯ সাল থেকে শিক্ষকতা শুরু করা লাল মোহাম্মদ ২০২১ সালে যোগ দেন বর্তমান কর্মস্থলে। সেই থেকেই ঘোড়ায় চড়া শুরু। নিজেই ঘোড়ার খাবার যোগানের পাশাপাশি করেন দেখভাল।
/এনএএস
Leave a reply