বন্যা এলেই অসহায় হয়ে পড়ে নিঝুমদ্বীপের হরিণগুলো

|

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

চারদিকে মেঘনা নদীবেষ্টিত নিঝুমদ্বীপের বনে আছে ছয় হাজার হরিণ, আর দ্বীপ ইউনিয়নে বসবাস করে চল্লিশ হাজার মানুষ। প্রতি বছর ঘূর্ণিঝড় ও জোয়ারের পানির প্রভাবে প্লাবিত হয় দ্বীপটি। বনের ভেতর উঁচু জায়গা না থাকায় প্রতি বছরই বন্যায় মারা পড়ে হরিণ। অন্যদিকে বেড়িবাঁধ না থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এখানকার মানুষের জীবন-জীবিকা।

বনের ভেতর চারটি পুকুর দীর্ঘদিন খনন না করায় পাড়গুলো সমতল হয়ে গেছে। ঝড়, জলোচ্ছাস ও জোয়ায়ারের পানিতে নোনাপানি বনে ঢুকে হরিণের জন্য সুপেয় পানির সংকট তৈরি করে। আবার উঁচু স্থান বা কেল্লা না থাকায় আশ্রয় নেয়ার জন্য হরিণের দল বিভিন্ন চর ও লোকালয়ে চলে আসে। এতে শিয়াল ও কুকুরের আক্রমণ ছাড়াও নানাভাবে মারা পড়ছে হরিণ। ৪০ হাজার ৩৯০ বর্গ কিলোমিটারের এ দ্বীপ ইউনিয়নে বসবাস করে ৪০ হাজার মানুষ। দ্বীপের চারপাশে বেড়িবাঁধ না থাকায় অতিরিক্ত জোয়ারের পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় মানুষের বসতঘর, পুকুরের মাছ এমনকি ক্ষেতের ফসল।

নোয়াখালী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো ফরিদ মিঞা বলেন, হরিণসহ অন্যান্য বন্য প্রাণী রক্ষার জন্য এ বছরই নিঝুমদ্বীপে পুকুর খনন করা হবে। এছাড়া উঁচু করা হবে পাড়গুলোও। যাতে করে বন্যার সময় পুকুরগুলোর পাড়ে আশ্রয় নিতে পারে হরিণ। আর পাড় উঁচু করা হলে পুকুরে লবনাক্ত পানিও ঢুকতে পারবে না বলেও জানালেন তিনি।

ঘূর্ণিঝড় ও জোয়ারের পানির প্রভাবে প্লাবিত নিঝুমদ্বীপের মানুষ ও হরিণ রক্ষায় জন্য বেঁড়িবাধ দরকার বলে মনে করেন নোয়াখালী ৬ আসনের সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদৌস। তিনি বলছেন, টেকসই বেড়িবাঁধ করা হলে হরিণসহ রক্ষা পাবে মানুষও।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply