যৌক্তিক কারণ ছাড়াই চড়া ডিমের বাজার

|

এই মুহূর্তে দেশের সবচেয়ে সস্তা প্রোটিন ডিম। তারপরও সেই দর হাতের নাগালে নেই। গ্রীষ্মকালে সংরক্ষণ জটিলতায় ডিমের দাম কমলেও এখন পাইকারিতেই এক পিসের দাম সাড়ে ৯ টাকা। খুচরা পর্যায়ে সেই দর আরও বেশি। গত ৭ দিনে ডজনে দাম বেড়েছে ১০ টাকা।

যৌক্তিক কারণ ছাড়াই চড়া ডিমের বাজার। প্রতি পিসে সাড়ে ৯ টাকা উৎপাদন খরচ দেখাচ্ছে করপোরেট কোম্পানি আর খামারিরা। তাদের যুক্তি, পোল্ট্রি ফিড ও বিদ্যুতের পেছনে ব্যয় বেড়েছে। এসব কারণে বেচাকেনা নেই খুচরা দোকানে। কার কথা বিশ্বাস করবেন, জানেন না ক্রেতারা।

এদিকে, রাজধানীর কারওয়ান বাজারে এখন ফার্মের ডিমের ডজন ১২৫ টাকা। যা গত সপ্তাহের চেয়ে ৫ টাকা বেশি। তার মানে প্রতি পিসের দর কম-বেশি ১০ টাকা। পাড়া-মহল্লার দোকানে সেই দাম বাড়ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, কয়েক হাত বদল হওয়ায় পরিবহন ব্যয় বেশ চড়া। প্রতি ১ শ’ ডিমের দর আগের চেয়ে ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেশি হাঁকছে করপোরেট বেনিয়ারা। আর ব্যবসায়ীদের এই যুক্তির খেলায় অসহায় নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা।

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ডিমের আড়তে বেচাকেনা কম। মাসের শুরুতে সাধারণত চাহিদা বেশি থাকলেও এবার তা নেই বললেই চলে। ব্যবসায়ী নেতাদের অভিযোগ, প্রশাসনের অভিযানের পর ডিমের দাম অযৌক্তিকভাবে কমে যায়। এখন স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরার চেষ্টা করছেন খামারিরা।

তেজগাঁও বহুমুখী ডিম ব্যবসায়ী সমিতির প্রচার সম্পাদক নাসির উদ্দিন বলেন, বাজার ঊর্ধ্বমুখী হয়ে গেছিল। এরপর আপনাআপনি কমতে ছিল। কমার কারণে এর মধ্যে অভিযান শুরু করলো। বাজারটা এমন এক পর্যায়ে চলে আসছিল, অনেক নিচে নেমে গেছিল। একটা ডিমের দাম সাড়ে আট টাকায় চলে আসছিল। কিন্তু উৎপাদন খরচ তো এরও বেশি।

খামারিদের অভিযোগ, গেল বছরের তুলনায় প্রতি বস্তা ভুট্টার দর বেড়েছে প্রায় হাজার টাকা। বাজার অস্থির উৎপাদক পর্যায়ে থেকেই। কমছে না পোল্ট্রি ওষুধের দামও। তাই প্রতি পিস ডিমে অন্তত ৫০ পয়সা মুনাফা না করলে টিকে থাকা কঠিন।

এ অবস্থায় দ্রুত সরকারিভাবে ডিমের দাম বেধে দেয়ার পরামর্শ ব্যবসায়ীদের।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply