২০১৯ সালের ২৩ নভেম্বর থেকে ২০২২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর। দীর্ঘ ১০২০ দিন সেঞ্চুরির দেখা পাননি সব ফরম্যাট মিলিয়ে ৭০ সেঞ্চুরির মালিক ভিরাট কোহলি। যা নিয়ে সমালোচনা কম হয়নি। অবশেষে সকল সমালোচকদের মুখ বন্ধ করে নিজের ৭১তম সেঞ্চুরি পেয়েছেন কোহলি। এশিয়া কাপের সুপার ফোরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে নিজের হারানো রাজত্ব খুঁজে পেলেন ভারতের সাবেক এই অধিনায়ক।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে এই ম্যাচে ১২২ রানের ইনিংস খেলেছেন কোহলি। যাতে ছিল ১২টি চার ও ৬টি ছক্কার মার। টি-টোয়েন্টিতে এটিই কোহলির সর্বোচ্চ ইনিংস। এশিয়া কাপের এবারের আসরে প্রথম সেঞ্চুরিও এটি। এই ফরম্যাটে এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ৯৪ রান করেছিলেন তিনি। ৭১ সেঞ্চুরি করে ছুঁয়ে ফেলেছেন অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি রিকি পন্টিংকেও। সামনে আছেন ১০০ সেঞ্চুরির মালিক শচীন টেন্ডুলকার।
এবারের এশিয়া কাপে শুরু থেকেই ছিলেন ছন্দে। প্রথম ম্যাচে হংকংয়ের বিরুদ্ধে অপরাজিত ৫৬, সুপার ফোরে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৬০, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ০ আর তারপরেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে এলো বহুল আকাঙ্ক্ষিত সেই সেঞ্চুরি। আর এ সেঞ্চুরি করতে কোহলিকে অপেক্ষা করতে হয়েছে গুনে গুনে ১০২০ দিন। এর আগে, বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বশেষ সেঞ্চুরিটি করেছিলেন কোহলি। সে ইনিংসে তার সংগ্রহ ছিল ১৩৬ রান।
কোহলির অফফর্ম ও সেঞ্চুরি না পাওয়া নিয়ে কম কথা হয়নি এই ১০২০ দিনে। ভারতের সাবেক ক্রিকেটাররা তো আছেনই, কোহলির ফর্ম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেক বিদেশিও। ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ভন বলেছিলেন, বিশ্রামে যাওয়া উচিত কোহলির। এই অক্টোবরে হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলে কোহলির জায়গা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন কপিল দেব, বীরেন্দর শেবাগ ও ভেঙ্কটেশ প্রসাদের মতো সাবেক ক্রিকেটাররা।
তবে, কোহলির সেই দুঃসময়ে পাশে ছিলেন অনেক তারকাই। পন্টিং বলেছিলেন, কোহলির ফর্মে ফেরা সময়ের ব্যাপার মাত্র। দিলীপ ভেংসরকার বলেছিলেন, কোহলিকে বিশ্রামে পাঠানোর মানে নেই। সে ক্রিজে থাকলে ফর্মে ফিরবেই। সুনীল গাভাস্কারও আশা রেখেছিলেন কোহলির ওপর। যদিও তিনি বলেছিলেন, ওয়ানডে ফরম্যাট দিয়েই সেঞ্চুরি খরা কাটাবেন ভিরাট।
জেডআই/ এসএইচ
Leave a reply