কোনোদিন হয়নি কমিটি, কিন্তু ছাত্রলীগ পরিচয়ধারীদের নির্যাতনে অতিষ্ঠ সাধারণ শিক্ষার্থীরা

|

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে ক্যাম্পাসে গঠন হয়নি ছাত্রলীগের কোনো কমিটি। অথচ ছাত্রলীগ পরিচয়ে প্রায়ই ঘটছে নানা অঘটন। দুই গ্রুপের মধ্যে হচ্ছে সংঘর্ষ, হামলা-পাল্টা হামলা। ছাত্রলীগ পরিচয়দানকারীদের হাতে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থীরাও। ছাত্রাবাসে সিট বাণিজ্যের অভিযোগও আছে। সব কিছু জেনেও নীরব দর্শকের ভূমিকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরে বাংলা হলের সিট দখলকে কেন্দ্র করে আইন বিভাগের শিক্ষার্থী তারেকুজ্জামানকে মারধর করে একই ছাত্রাবাসের দেলোয়ার, সোহাগ ও রাকিবুল। হামলাকারীরা ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে পরিচিত। গেলো ২৩ আগস্ট মারধরের এই ভিডিও ভাইরাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

শেরে বাংলা হলের প্রভোস্ট আবু জাফর মিয়া জানালেন, এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। কারো জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এর আগে ৫ জুলাই রাতে খেলার মাঠে ডেকে নিয়ে মাহমুদুল হাসান দোলন নামের শিক্ষার্থীর ওপর নির্যাতন চালানো হয়। মারধরের শিকার শিক্ষার্থীর অভিযোগ, সিট বাণিজ্যের প্রতিবাদ করায় ছাত্রলীগ পরিচয়দানকারী রুম্মানসহ কয়েকজন মারধর করে তাকে। বিচার চেয়ে প্রক্টরের কাছে অভিযোগ দিয়েও লাভ হয়নি। উল্টো নিরাপত্তাহীনতায় ক্যাম্পাসছাড়া দোলন। জানালেন, ঘটনার পর দুই মাস হয়ে গেলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ।

মারধরের বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা পরিচয়দানকারী শিক্ষার্থী সৈয়দ রুম্মান ইসলামকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, এই বিষয়ে কোনো কথা বলতে আগ্রহী নন তিনি। ছাত্রলীগ নেতা পরিচয়দানকারী শিক্ষার্থী আরেক অভিযুক্ত দেলোয়ার হোসেন বলছেন, ছাত্রলীগের সুনাম নষ্ট করতেই এ ধরনের অভিযোগ করা হচ্ছে। ঘটনার দিন তিনি হলে ছিলেন না বলেও দাবি করেন তিনি।

প্রতিটি ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগীরা। যার কোনোটারই বিচার হয়নি এখনও। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. খোরশেদ আলমের দাবি, সবগুলোই বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এ ধরনের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

গত ৭ আগস্ট নিরাপত্তা চেয়ে প্রক্টর বরাবর আবেদন করে ছাত্রলীগ পরিচয়দানকারী ৪ শিক্ষার্থী। এর ৭ দিনের মাথায় প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হয় নিরাপত্তা চেয়ে আবেদনকারীদের একজন।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply