যৌক্তিক কারণ ছাড়াই গত ২ মাসে বেড়েছে লবণের দাম

|

দুই মাস ধরে বাড়ছে লবণের দাম। কোম্পানিগুলো হুট করে না বাড়িয়ে প্রতি মাসে প্যাকেটে নতুন দাম বসাচ্ছে। অথচ যোগান উদ্বৃত্ত। কারণ জানেন না খুচরা ব্যবসায়ীরা। অভিযোগ, মজুদ করে লবণের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা করছে কোম্পানিগুলো।

যদিও আমদানিকারকদের ব্যাখ্যা ভিন্ন। বলছেন, জ্বালানি ব্যয় ও ডলারের চড়া দামের জন্য লবণের দর সমন্বয় করতে হয়েছে। সরকার আমদানির উদ্যোগ নিলে বাজার স্বাভাবিক হবে।

গত দুই মাসে আয়োডিনযুক্ত লবণের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ টাকা। শতকরা হিসাবে যা প্রায় ১০ দশমিক ৬ শতাংশ। ব্যবসায়ীরা বলছেন, জ্বালানি তেলের দর সমন্বয়ের পর থেকেই অস্থিতিশীল লবণের বাজার। রান্নায় কম ব্যবহার হয় বলে পণ্যটি নিয়ে খুব বেশি আলোচনা হয়নি।

সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, গত মৌসুমে দেশে লবণ উৎপাদন হয়েছে ১৮ লাখ টনের বেশি। এবার লক্ষ্যমাত্রা ২৩ লাখ টন। এরমধ্যে ইন্ডাস্ট্রিয়াল সল্টের বড় অংশই আমদানি হয়। আর বছরে আয়োডিনযুক্ত লবণ বিক্রি হয় কম-বেশি ৯ লাখ টন। সেজন্য প্রতি বছর আমদানি করতে হয় ৪০ টন পটাশিয়াম আয়োডাইড, যা মূলত আসে সরকারিভাবে। অর্থাৎ বাণিজ্যিক ব্যবহারের বাইরে দেশে লবণ উদ্বৃত্ত থাকার কথা।

সারাদেশে ৩ শ’ এর বেশি লবণের মিল আছে। এরমধ্যে আধুনিক প্রযুক্তি আছে ৫টি কোম্পানির।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply