কক্সবাজার প্রতিনিধি
দুর্নীতি মামলায় কুতুবদিয়া থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলতাফ হোসেনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। আলতাফ হোসেন বর্তমানে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে কর্মরত আছেন। মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে কক্সবাজার স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মীর শফিকুল আলম জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
দুদক সূত্র জানায়, ২০১৪ সালে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে কুতুবদিয়া উপজেলার বড়ঘোপ ইউনিয়নের সিন্নিহাইয়া গ্রামের ইস্কান্দার মির্জার স্ত্রী জমিলা আক্তার বাদী হয়ে কুতুবদিয়া থানার তৎকালিন ওসি আলতাফ হোসেন ও উপপরিদর্শক এবিএম কামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার স্পেশাল জজ আদালতে ফৌজদারী দরখাস্ত দায়ের করেন। পরে ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর চট্টগ্রাম-এর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক অজয় সাহাকে নির্দেশ দেন। অজয় সাহা মামলাটি তদন্ত করে ২০১৭ সালের ১৫ মার্চ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করেন। পরে আদালত দরখাস্তটি স্পেশাল মামলা নং ১৫/১৭ হিসেবে রুজু করে। এরপর ওই মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
দুদক সূত্র আরও জানায়, আজ মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন আবেদন করেন ওসি আলতাফ হোসেন। পরে আদালতের বিচারক মীর শফিকুল আলম জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। দুদকের পক্ষে জামিনের বিরোধিতা করেন দুদক নিয়োজিত আইনজীবী অ্যাড. মো. আব্দুর রহিম।
আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন সাবেক পিপি অ্যাড. নুরুল মোস্তফা মানিক। দুদকের আইনজীবী অ্যাড. আব্দুর রহিম জানান, আদালত জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে আসামি আলতাফ হোসেনকে কারাগারে পাঠিয়েছে। এ আদেশে দুদক সন্তুষ্ট। এই মামলায় অপর আসামি এবিএম কামাল উদ্দিন পলাতক রয়েছেন। তিনি বর্তমানে ঢাকার শিল্প পুলিশে উপপরিদর্শক হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি আরও বলেন, আগামী ২৬ জুন পরবর্তী মূল শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
Leave a reply