টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য বাংলাদেশের ঘোষিত স্কোয়াডে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের না থাকা যতটা না বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছে, তার চেয়েও হয়তো বহুগুণ চমক হয়ে এসেছে নাজমুল হোসেন শান্তর অন্তর্ভুক্তি। লাল বলের ক্রিকেটের জন্যই যেখানে নিয়মিত বিবেচিত হয়েও প্রত্যাশার কিয়দাংশও পূরণ করতে পারেননি এই বাঁহাতি টপ অর্ডার ব্যাটার, সেখানে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য তাকে স্কোয়াডে রাখার ব্যাখ্যা নিজে থেকে খুঁজে পাওয়া কিছুটা কঠিন বৈকি!
স্বাভাবিকভাবেই বিসিবির প্রেস কনফারেন্সে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুকে এ প্রসঙ্গে উত্তর দিতে হয়েছে। টি-টোয়েন্টিসহ অন্য কোনো ফরম্যাটেও যেখানে সাম্প্রতিক সময়ে পারফর্ম করতে পারেননি শান্ত, সেখানে কোন বিচারে তাকে নেয়া হলো টি-টোয়েন্টির জন্য; এমন প্রশ্নের জবাবে নান্নু বলেন, শান্তর বিপিএলের রেকর্ড দেখেন। বাংলাদেশের যে কয়জন ক্রিকেট ঘরোয়া লিগে ভালো করছে, তাদের মধ্যে কিন্তু শান্তর রেকর্ড খারাপ না। বিপিএলে লোকাল প্লেয়ারদের যে কয়টা সেঞ্চুরি আছে, তা কিন্তু শান্তরই করা। সেই হিসেবে চিন্তা করলে শান্তর ঘরোয়া রেকর্ড কিন্তু খুব খারাপ না। এই ফরম্যাটে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তো আমাদের সবাই স্ট্রাগল করছে। টিম ম্যানেজমেন্টের যেহেতু একটা মতামত আছে, নির্বাচক প্যানেলেরও একটা মতামত আছে। সর্বসম্মতিক্রমেই এই সিদ্ধান্তটি নেয়া হয়েছে।
সীমিত ওভারের ক্রিকেটে নাজমুল হোসেন শান্ত এখনও উল্লেখযোগ্য কিছুই করে দেখাতে পারেননি। টি-টোয়েন্টির কথাই যদি ধরা হয়, তবে নাজমুল শান্তর রেকর্ড আরও সঙ্গিন। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে শান্ত খেলেছেন ৯টি ম্যাচ। ১৮.৫ গড় ও ১০৪.২২ স্ট্রাইক রেটে নাজমুল শান্ত যে এই ফরম্যাটে নতুন কোনো আশার আলো দেখাতে পারছেন না, সেটিও নতুন করে বলার কিছু নেই। ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করা নয় বরং আরেকজনের ব্যর্থতাতেই যেখানে জাতীয় দলের দরজা খুলে যায়, সেই বাংলাদেশের ক্রিকেটেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য নাজমুল শান্তর অন্তর্ভুক্তিতে চোখ কপালে উঠে যায়! আর ‘সর্বসম্মতিক্রমে’ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ব্যাপারটিও তাই সৃষ্টি করেছে অধিকতর বিস্ময়ের।
আরও পড়ুন: কার সিদ্ধান্তে বাদ পড়লেন মাহমুদউল্লাহ?
/এম ই
Leave a reply