বাংলাদেশ ব্যাংকে চীনা মুদ্রা ইউয়ানে ক্লিয়ারিং হিসাব খুলতে পারবে ব্যাংকগুলো। এই মুদ্রায় বিদেশে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো প্রতিনিধিত্বকারী শাখায় হিসাবও পরিচালনা করতে পারবে। এলসি পরিচালনা করতে পারবেন উদ্যোক্তারা। একইসঙ্গে আন্তঃদেশীয় সীমান্তে বাণিজ্যে লেনদেন নিষ্পত্তির জন্য এই মুদ্রা ব্যবহার করতে পারবেন তারা।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে ২০১৮ সালে চীনা মুদ্রা ইউয়ানে দেশি ব্যাংকগুলোকে বাংলাদেশ ব্যাংক ক্লিয়ারিং হিসাব খোলার সুযোগ দেয়। ওই সময় থেকে ব্যাংকগুলো চীনা মুদ্রায় এলসি খোলাসহ বৈদেশিক বাণিজ্যে ব্যবহারের সুযোগ পায়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে থেকে দেখা যায়, একক দেশ হিসাবে চীনের সঙ্গেই বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি বাণিজ্য রয়েছে। বাংলাদেশের মোট আমদানির ২৬ শতাংশ এবং রফতানির ৩ শতাংশ হয় চীনের সঙ্গে। যে কারণে চীন থেকে ইউয়ানের আয় বাংলাদেশের কম হচ্ছে। কিন্তু আমদানি ব্যয় বেশি হওয়ায় ডলারের ওপরই নির্ভরশীল হতে হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে ডলারের দাম বেশি হওয়ায় বিকল্প মুদ্রা ব্যবহারের উদ্যোগ নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরই অংশ হিসাবে ওই সার্কুলার জারি করা হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়, চীনা মুদ্রায় সে দেশের সঙ্গে এলসি খোলাসহ সব ধরনের বাণিজ্য করার সুযোগ রয়েছে। এজন্য ব্যাংকগুলো প্রয়োজন অনুযায়ী যে কোনো দেশের প্রতিনিধিত্বকারী ব্যাংকগুলোতে ইউয়ানে হিসাব খুলতে পারবে। ওই হিসাব থেকে লেনদেনও করতে পারবে। একই সঙ্গে আন্তঃদেশীয় সীমান্ত বাণিজ্য নিষ্পত্তি করতেও এই মুদ্রা ব্যবহার করা যাবে।
/এডব্লিউ
Leave a reply