বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবাহ বাড়ছে। এজন্য ডলার ও আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম বৃদ্ধিকে কারণ মনে করছেন ব্যাংকার ও বিশ্লেষকরা। তাদের মতে ব্যবসার খরচ বেড়ে যাওয়ায় বেসরকারি খাতে ঋণ নেয়ার প্রবণতা বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এটিকে দেখছে করোনায় স্থবির অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষণ হিসেবে।
করোনা সংকটে ধাক্কা লাগে বেসরকারি বিনিয়োগে। শিল্প ও সেবা খাত অনেকটা স্থবির হয়ে পড়ে। ঋণের প্রবৃদ্ধি নামে ৮ শতাংশের নিচে।
করোনার পর থেকেই আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়তে থাকে পণ্যের দাম। ইউক্রেন বাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে তা আরও গতি পায়। এ কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যে ব্যয় বেড়েছে বলে মনে করেন ব্যাংকার ও বিশ্লেষকরা। ডলারের দাম বৃদ্ধিতেও বেশি অর্থ খরচ করতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। তার প্রভাবে বাড়ছে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহে। সবশেষ হিসেবে গত জুলাইয়ে এ খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি ১৩ দশমিক ৯ শতাংশ। আগের মাসেও যা ছিল ১৩ দশমিক ৬ শতাংশ। এসবিএসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মসলেহ উদ্দিন আহমেদ মনে করেন, ডলার ও আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম বৃদ্ধির জন্যই ব্যবাসায়ীদের মধ্যে ঋণ নেয়ার প্রবণতা বাড়ছে।
বিআইবিএমের সাবেক মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরীও বললেন একই কথা। মূল্যবৃদ্ধি এবং অন্যান্য কারণে এই বাড়তি টাকা ব্যয় হয়েছে বলে মত। তবে এ টাকা কোনো নতুন বিনিয়োগের কাজে লাগানো হয়নি বলেই ধারণা তার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলছেন, করোনা সংকট মোকাবেলায় প্রণোদনা দিয়েছে সরকার। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকেও দেয়া হয় অর্থের যোগান। সবমিলিয়েই বেসরকারি খাতে ঋণ বেড়েছে। এটিকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছে বাংলাদেশ ব্যাংক। করোনার সময় বিভিন্ন দেশের অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়েছিল। এই ঋণের প্রবণতা সেটা থেকে উত্তরণেরই ইঙ্গিত বলে মনে করছেন তিনি।
বাড়তি দামে পণ্য আমদানি ছাড়াও পোশাক শিল্পে বিনিয়োগ বেড়েছে বলেও জানায় বাংলাদেশ ব্যাংক।
/এডব্লিউ
Leave a reply