কেরাণীগঞ্জে দাফনের তিন মাস পর যুবকের লাশ উত্তোলন

|

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি:

ঢাকার কেরাণীগঞ্জে দাফনের ৩ মাস ১১দিন পর ময়নাতদন্তের জন্য আবির হোসেন (৩২) নামের এক যুবকের লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।

রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার হাসনাবাদ কবরস্থান থেকে সিনিয়র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কেএম রফিকুল ইসলাম ও ঢাকা পুলিশ পরিদর্শক (সিআইডি) বেলায়ত হোসেনের উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলন করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঢাকা পুলিশ পরিদর্শক (সিআইডি) বেলায়ত হোসেনের জানান, গত ৬ জুন মৃত্যুর পর আবিরের মরদেহ দাফন করা হয়েছিল। ৩০ আগস্ট পিতা শাহজাহান তার ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে আদালত মামলাটি সিএমএম আদালতে রুজু করে কবর থেকে লাশ তোলার নির্দেশ দেন। তদন্তের স্বার্থে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও মেডিকেল অফিসারের উপস্থিতিতে লাশ তুলে মর্গে পাঠানো হয়।

মামলার বাদী নিহতের বাবার শাহজাহান বাদশা জানান, গত ৬ জুন সন্ধ্যায় খবর পাই যে, আমার ছেলে ওয়ারী পেট্রোল পাম্প থেকে সায়েদাবাদ যাওয়া পথে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। তবে হাসপাতালে গিয়ে দেখি, আমার ছেলের লাশ মর্গে রাখা হয়েছে। পরে বিবাদীর যোগসাজশে হাসপাতালে ময়নাতদন্তের ছাড়াই লাশ দাফন করা হয়।

শাহজাহান বলেন, অবৈধভাবে সম্পত্তি দখলের জন্য পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। আমাকে ওয়ারিশশূন্য করার জন্যই প্রতিপক্ষ পরিকল্পিতভাবে আবিরকে খুন করে। এ ঘটনায় ওয়ারী থানা মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানানোয় তিনি আদালতে মামলা করেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্টেট ‌কে এম র‌ফিকুল ইসলাম জানান, ওই যুবকের মৃত্যুর সময় থানায় কোনো কিছুই জানানো হয়নি। নিহতের পিতার মামলার প্রেক্ষিতে ৩ মাস পর আদালতের নির্দেশে লাশ উত্তোলন করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply