উইন্ডস’র ক্যাসেলে চিরনিদ্রায় সমাহিত হলেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যার পর পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে কিং জর্জ সিক্স মেমোরিয়াল চ্যাপেলে সমাহিত করা হয় তাকে। এর আগে সেখানে ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী তাকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
ঐতিহ্যবাহী ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে হয় শেষকৃত্যের মূল আনুষ্ঠানিকতা। শ্রদ্ধা জানান বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানসহ ২ হাজার অতিথি। যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার পর শবযাত্রা অতিক্রম করে লন্ডনের গুরুত্বপূর্ণ সব সড়ক।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সাক্ষী এই ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবে। তার বিয়ে আর সিংহাসনে আরোহণ, দুই আনুষ্ঠানিকতাই সম্পন্ন হয় এখানে। তার শেষকৃত্যের মঞ্চও হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবেতে।
বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টার দিকে শুরু হয় অন্তেষ্ট্যিক্রিয়ার মূল আনুষ্ঠানিকতা। শোক সঙ্গীত তৈরি করে বিষাদের সুর।
জাতিসংঘ সম্মেলনের আগেই বিশ্বনেতাদের এক সম্মিলন হয়ে গেলো রানির শেষ বিদায়ের অনুষ্ঠানে। ৫শ’ বিশ্বনেতাসহ যোগ দেন ২ হাজার অতিথি। উপস্থিত ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও।
অন্তেষ্টিক্রিয়ায় আর্চবিশপ অব ক্যানটাবারি পড়েন শোকবার্তা। ট্রাম্পেটের সাথে স্যালুটের মধ্য দিয়ে শেষ হয় ফিউনেরাল। এরপর পালন করা হয় দুই মিনিটের নীরবতা। স্তব্ধ হয়ে যায় গোটা ব্রিটেন।
শেষকৃত্যের পর রানির কফিন নিয়ে যাওয়া হয় ওয়েলিংটন আর্চে। দেড় মাইল পথ পায়ে হেঁটে শবযাত্রায় অংশ নেন রাজপরিবারের সদস্যরা। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে রানিকে শেষ বিদায় জানান, লন্ডনের সাধারণ মানুষ।
সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে স্থানীয় সময় বিকেলে উইন্ডসর ক্যাসেলের কিং জর্জ সিক্স মেমোরিয়াল চ্যাপেলে স্বামী প্রিন্স ফিলিপের পাশে সমাহিত হন রানি।। রানির বাবা, মা ও বোন মার্গারিটের সমাধিও আছে সেখানে।
/এনএএস
Leave a reply