গাজীপুর প্রতিনিধি:
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে নিখোঁজের চার দিন পর এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের জামাতাসহ দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত ময়নাল হোসেন (৭৫) গাজীপুরের কালিয়াকৈরের টান-কালিয়াকৈর এলাকার মৃত ইব্রাহীমের ছেলে। আটকৃতরা হলো, টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার শুকতা গ্রামের আরজ আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম (৪০) এবং গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার পূর্ব চান্দরা এলাকার কফিলউদ্দিন ছেলে হিরা (২৮)।
আটকের পর শহীদুল ইসলামের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে কাশিমপুরের ভবানীপুর এলাকা থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার টান-কালিয়াকৈর এলাকার ময়নাল হোসেনের মেয়ে শিল্পী আক্তারের সাথে শহিদুল ইসলামের মাত্র চার মাস আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে শহিদুল ইসলাম তার স্ত্রী শিল্পীকে মারধর করতো। চাপ দিয়ে ও কৌশলে শ্বশুরের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিতো সে।
এর মধ্যে দাবিকৃত টাকা না দেয়ায় গত বুধবার শহীদুল তার শ্বশুরকে সরকারি ঘর পাইয়ে দেয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে অন্যস্থানে নিয়ে জিম্মি করে টাকা দাবি করে। এদিকে বাবাকে খুঁজে না পেয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি জিডি দায়ের করেন তার মেয়ে শিল্পী আক্তার। এ ঘটনায় তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ সাভার আশুলিয়ার বাদাইল থেকে শিল্পীর আক্তারের স্বামী শহিদুল ইসলামকে আটক করে।
পুলিশ বলছে, গাজীপুরের কাশিমপুরের ভবানীপুর এলাকায় নিয়ে ময়নুলকে হত্যার পর পাশের একটি পুকুর পাড়ের জঙ্গলে ফেলে রাখে বলে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে শহীদুল। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে রোববার সকালে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। সেই সাথে শহীদুল ইসলামের সহযোগী হিরাকে আটক করেছে পুলিশ।
কালিয়াকৈর থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) আকবর আলী খান জানান, তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে নিহতের জামাতা ও তার সহযোগীকে আটক করা হয়েছে। পরে জামাতা শহিদুলের তথ্য মতে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। আটককৃদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।
এসজেড/
Leave a reply