প্রতারণার মামলায় লিনডে বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুজিত পাইসহ আরও দুজন ডিরেক্টরের বিরুদ্ধে করা প্রতারণা ও আত্মসাতের মামলায় শুনানি হয়েছে। এ মামলার আসামি ম্যানেজিং ডিরেক্টরের উপদেষ্টা এরফান সিহাবুল মতিন এবং গ্যাস বিজনেস বিভাগের প্রধান চৌধুরী নুরুর রহমানের উপস্থিতিতে আদালতে শুনানি হয়।
রোববারের (২৫ সেপ্টেম্বর) শুনানিতে পলাতক সুজিত পাইয়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরােয়ানা জারি করা হয়। তবে অন্য দুই অভিযুক্তকে একমাসের মধ্যে আপস-মীমাংসা এবং ৫ লক্ষ টাকা করে জামানতের শর্তে জামিন দেয়া হয়েছে।
গত ৮ই সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে লিনডে বাংলাদেশের ওই তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কানেক্ট ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডের পক্ষে মামলাটি দায়ের করেন খােন্দকার এরশাদ জাহান। বাদীর আইনজীবী মােহাম্মদ হাবীবুর রহমান জানান, বাদী তাদের বিরুদ্ধে ট্রাক এবং সিলিন্ডার আত্মসাতের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন। মামলা দায়ের হওয়ার দিনই তিন আসামির বিরুদ্ধে সমন জারি করেন আদালত।
বাদীর অভিযোগ, লিন্ডে বাংলাদেশ লিমিটেড নামক জার্মান কোম্পানিটি যেটি বাংলাদেশ অক্সিজেন কোম্পানি (বিওসি) নামে পরিচিত ছিল, তার ন্যাশনাল ডিস্ট্রিবিউটরকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বেআইনিভাবে ২০২২ সালের জুন থেকে সব ধরনের ইন্ডাস্ট্রিয়াল এবং জীবনরক্ষাকারী মেডিকেল গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয় এবং টঙ্গী, ময়মনসিংহ, রংপুর, বগুড়া, রাজশাহী, খুলনা, যশাের এবং বরিশাল ডিপাের আওতাধীন এলাকায় কৃত্রিম গ্যাসের সংকট তৈরি করে।
এর ফলে সেই ডিপােগুলোর আওতাধীন বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে জীবন রক্ষাকারী অক্সিজেন গ্যাসের তীব্র সংকট দেখা দেয়। পরবর্তীকালে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের চাপে পড়ে কিছু কিছু জায়গায় ঢাকা থেকে সরাসরি সরবরাহের চেষ্টা করে তারা। তবে বাদীর অভিযোগ, এই চেষ্টা লােক দেখানাে। আদতে কিছু প্রভাবশালী স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অনৈতিক আর্থিক লাভের জন্যই এই কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছে কোম্পানিটি।
উল্লেখ্য, লিনডে বাংলাদেশ লিমিটেড তার ন্যাশনাল ডিস্ট্রিবিউটরের মাধ্যমে ৯টি ডিপাের আওতাধীন এলাকায় যাবতীয় গ্যাস সরবরাহ করার জন্য চুক্তিবদ্ধ। ডিস্ট্রিবিউটরের অভিযোগ, কোম্পানিটি চলতি ২০২২ সালের জুনের শেষের দিক হতে তাদের কোনাে ধরনের ইন্ডাস্ট্রিয়াল এবং জীবন রক্ষাকারী মেডিকেল গ্যাস সরবরাহ করেনি।
পূর্বঘোষিত তারিখ অনুযায়ী আজ তিন আসামির মধ্যে দু’জন আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে জামিন পান। তবে অপর অভিযুক্ত সুজিত পাই সমন পাওয়ার পরপরই গােপনে দেশত্যাগ করেছেন।
/এডব্লিউ
Leave a reply