নিত্যপণ্যের বাজারে লাগামহীন সব পণ্যের দাম। এ কারণে সরকার নিত্যপণ্যের মধ্যে ৯টির দাম নির্ধারণের উদ্যোগ নেয়। এরমধ্যে পাম তেলের দাম কমলেও চিনির বাজারে এর প্রভাব নেই।
দোকানদাররা বলছেন, নতুন দামের চিনি এখনও বাজারে আসেনি। আর মিল গেটেও কমেনি দাম। অন্যদিকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর কারচুপি ও অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর অভিযান চালানোর তাগিদ দিয়েছে।
আগস্টের মাঝামাঝি পাইকারি বাজারে খোলা চিনি মণপ্রতি ১৫০ টাকা বেড়ে হয় ৪ হাজার ৩শ’ টাকা। তখন থেকেই খুচরা দোকানে প্রতি কেজি খোলা চিনি ৮৫ টাকা থেকে বেড়ে ৯০ টাকায় বিক্রি হয়। এছাড়া বিভিন্ন কোম্পানির প্যাকেটজাত চিনি বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকায়।
এ অবস্থায় ২২ সেপ্টেম্বর চিনি ও পাম তেলের দর নির্ধারণ করে দেয় সরকার। পাম তেলের দাম কমলেও চিনিতে সরকারের নীতি মানছে না ব্যবসায়ীরা। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, নতুন চালান না আসায় তারা বাড়তি দরেই বিক্রি করছেন।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) বলছে, বছরের ব্যবধানে প্রতি কেজি চিনির দাম বেড়েছে প্রায় ১৯ শতাংশ। মিল থেকে কম দামে চিনি না দেয়ার অভিযোগ ডিলারদের।
ভোক্তা অধিকার বলছে, দাম বৃদ্ধির আভাস পেলে যত দ্রুত কার্যকর হয় কমানোর ক্ষেত্রে ঠিক ততোটাই নিশ্চুপ ব্যবসায়ীরা। সংস্থাটির মহাপরিচালক এ এইচ এম সাফিকুজ্জামান বলেন, অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, যখন একটি পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পায়, তখন তারা এটি খুব দ্রুত বাড়িয়ে ফেলে। বাজারে তখন সল্প দামের পুরানো জিনিস আর পাওয়া যায় না। কিন্তু যেটির দাম বাড়ে, সেটি দ্রুত কার্যকর হয়ে যায়। বিপরীতে যখন দাম কমানো হয়, তখন সরবরাহে অনেক ধীরগতি থাকে। আমরা এটি মনিটরিংয়ে রেখেছি।
রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলগুলোতে উৎপাদন কম থাকায় ব্রাজিল, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য ও মালয়েশিয়া থেকে অপরিশোধিত চিনি আমদানি করে বাংলাদেশ। সরকারি হিসাবে দেশে বছরে চিনির চাহিদা ১৮ লাখ টন।
/এমএন
Leave a reply