৭ শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অংশ নিতে না দেয়ায় কেন্দ্র সুপারকে শোকজ

|

৭ শিক্ষার্থীকে দাখিলের (এসএসসি) জীববিজ্ঞান পরীক্ষায় অংশ নিতে না দেয়ায় শোকজ করা হয়েছে আলেকজান্ডার কামিল মাদরাসা কেন্দ্রের সুপার মো. তৈয়ব আলীকে।

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:

লক্ষ্মীপুরের চর আব্দুল্লাহ মাদরাসাতুল জামেয়াতুল ইসলামিয়া ফাজিল ডিগ্রী মাদরাসার ৭ শিক্ষার্থীকে দাখিলের (এসএসসি) জীববিজ্ঞান বিষয়ের পরীক্ষায় অংশ নিতে না দেয়ায় শোকজ করা হয়েছে আলেকজান্ডার কামিল মাদরাসা কেন্দ্রের সুপারকে।

বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রামগতির আলেকজান্ডার কামিল মাদরাসা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসকের নির্দেশে কেন্দ্র সুপারকে শোকজ করা হয়েছে। পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারা শিক্ষার্থীরা হলেন- নুসরাত জাহান ইতি, আকিব হোসেন, শরীফুল ইসলাম, আরমান হোসেন, নিহা আক্তার, রোমানা আক্তারা ও জিয়া উদ্দিন শুভ।

পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারা পরীক্ষার্থীরা জানান, তাদের প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক রবিশঙ্কর চন্দ্র দাস তাদেরকে জানান যে, নির্ধারিত তারিখে জীব বিজ্ঞান পরীক্ষা হবে না। তাই তারা ওইদিন পরীক্ষা কেন্দ্রে যাবার কোনো প্রস্তুতিও নেননি। কিন্তু সকালে কেন্দ্র থেকে তাদেরকে অন্য এক মাদরাসার শিক্ষক পরীক্ষা হওয়ার কথা জানান। খবর পেয়ে হন্তদন্ত হয়ে তারা কেন্দ্রে ছুটে যান। এরইমধ্যে তাদের ৪০ মিনিট দেরি হয়ে যায়। এ কারণে হল সুপার তাদের কেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দেন। ফলে পরীক্ষা না দিয়েই ফিরে যেতে হয় তাদের।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, চর আব্দুল্লাহ মাদরাসাতুল জামেয়াতুল ইসলামিয়া ফাজিল ডিগ্রী মাদরাসার অধ্যক্ষ আ.ন.ম. আব্দুল হাকিম ও আলেকজান্ডার কামিল মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. তৈয়ব আলীর পারস্পারিক দ্বন্দ্বের কারণে তারা ষড়যন্ত্রের কবলে পড়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি। এখন তাদের ভবিষ্যৎ শিক্ষা জীবন অন্ধকারের মধ্যে পড়েছে বলে হতাশা ব্যাক্ত করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হল সুপার ও আলেকজান্ডার কামিল মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. তৈয়ব আলী জানান, দ্বন্দ্বের বিষয়টি সঠিক নয়। জীব বিজ্ঞানের পরীক্ষায় ৭ জন পরীক্ষার্থী নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হননি। বিষয়টি তাৎক্ষনিক তাদের প্রতিষ্ঠান প্রধান ও সহকারি শিক্ষককে অবহিত করা হয়। কিন্তু ৪০ মিনিট পর তারা কেন্দ্রে উপস্থিত হলে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করা হলে তিনি বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। এজন্য নিয়মানুযায়ী তাদের পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়নি।

আরও পড়ুন: বিভ্রান্তিতে দাখিল পরীক্ষা দিতে পারেননি লক্ষীপুরের ৭ মাদরাসা শিক্ষার্থী

এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস.এম শান্তনু চৌধুরীর মুঠোফোনে চেষ্টা করেও তার বক্তব্য জানা যায়নি। তবে জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ জানান, বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্র সুপারকে শোকজ করা হয়েছে, একই সঙ্গে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠানের কোনো গাফিলতি আছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply