জাঁকজমক আয়োজনে ইউক্রেনের চার অঞ্চলকে রাশিয়ার সাথে অন্তর্ভুক্তির ঘোষণা দিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এখন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়ার অংশ হিসেবে জাপোরিঝিয়া, খেরসন, লুহানস্ক এবং দোনেৎস্ককে বিবেচনা করবে মস্কো। এর ফলে ১৫ শতাংশের বেশি ভূখণ্ড হারালো ইউক্রেন।
ইউক্রেনের চার অঞ্চলকে রাশিয়ার সাথে সংযুক্তির ঘোষণা দিতে স্থানীয় সময় দুপুর তিনটার দিকে অনুষ্ঠানস্থলে হাজির হন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
পার্লামেন্ট দুমার সদস্যরা ছাড়াও রুশ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী এবং ধর্মীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন এই অনুষ্ঠানে। জাকজমক আয়োজনে দেয়া ভাষণে পুতিন প্রত্যয় জানান, রাশিয়ার সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কোনো ছাড় দেবেন না তিনি। এরপরই ঘোষণা দেন চার অঞ্চলকে রাশিয়ার সাথে সংযুক্তির।
পুতিন বলেছেন, এখন থেকে জাপোরিঝিয়া, খেরসন, লুহানস্ক এবং দোনেৎস্ক রাশিয়ার অংশ বলে বিবেচিত হবে। এই অঞ্চলগুলোর রাশিয়ার অংশ এটা ঐতিহাসিকভাবেই সত্য। এখানকারও নাগরিকরাও এখন রাশিয়ান। এই অঞ্চলগুলোর জন্য নতুন আইন করা হবে। বিশেষ মর্যাদা পাবেন সেখানকার সব নাগরিকরা। তাদের জন্য নিরাপত্তা এবং অধিকার নিশ্চিত করা হবে। পার্লামেন্টের মাধ্যমে আমরা বাকি সিদ্ধান্ত নেবো।
ইউক্রেনের এই চার অঞ্চলের জনসংখ্যা প্রায় ২৩ লাখ ৬২ হাজার। এর ফলে ৯০ হাজার বর্গ কিলোমিটারের বেশি এলাকা যোগ হবে রাশিয়ার সাথে; যা ইউক্রেনের মোট আয়তনের ১৫ শতাংশ। সবচেয়ে বড় বিষয়, অ্যাজভ সাগর ঘেষা চারটি অঞ্চল রাশিয়ার দখলে চলে যাওয়ায়, ইউক্রেনের পুরো পূর্বাঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ থাকবে মস্কোর হাতে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এতে কৌশলগতভাবে এগিয়ে থাকবে মস্কো। যেকোনো মুহূর্তে চাপে ফেলতে পারবে কিয়েভকে।
এর আগে, ২০১৪ সালে ইউক্রেনের ক্রাইমিয়ায় অভিযান চালায় রাশিয়া। ১ মাসের বেশি সময় ধরে অভিযানের পর, মার্চে অঞ্চলটিকে রাশিয়ার সাথে সম্পৃক্ত করে মস্কো।
জেডআই/
Leave a reply