চাল, আটা-ময়দার বাজারে অস্থিরতা চলছেই। আটা ও চালের দাম প্রায় সমান, আর ময়দার দর চালের চেয়ে বেশি। বিক্রেতারা বলেছেন, আমদানি করা চালের তেমন প্রভাব নেই মোকামে। অভিযোগ উঠেছে, শুল্ক ছাড়ের সুবিধায় ভারত থেকে আসা বেশিরভাগ চালই আসছে না বাজারে। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক কৃষি বিভাগ ইউএসডিএ’র প্রতিবেদন বলছে, দুই বছরে বাংলাদেশে চালের দাম বেড়েছে ৪৭ শতাংশের বেশি। ব্যবসায়ীদের দাবি, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে গম আমদানি কমায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাজারে।
স্বস্তি ফিরছে না চালের বাজারে। চড়ামূল্য অপরিবর্তিত। আশানুরূপ সুফল মিলছে না আ্মদানির। বরং দু’এক ধরনের চালের দাম সপ্তাহান্তে বেড়েছে আরও কিছুটা। রাষ্ট্রায়াত্ত সংস্থা টিসিবির তথ্য বলছে, এক মাসের ব্যবধানে ৫ থেকে সর্বোচ্চ ১৪ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে সব ধরনের চালের দাম।
আমন মৌসুমে দেশে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। রেকর্ড পরিমাণ চালের মজুদ আছে সরকারের গুদামেও। এরপরও সহনীয় পর্যায়ে আসছে না দাম। বিশাল শুল্কছাড়ের সুবিধায় ভারত থেকে চাল এলেও, পর্যাপ্ত সরবরাহ নেই খুচরা বাজারে। পাইকারি ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, শর্ত লঙ্ঘন করে অনেক প্রতিষ্ঠান, আমদানি করা চাল নিজেদের ব্র্যান্ডে প্যাকেট করে বিক্রি করছে।
চালের পাশাপাশি, অস্থিরতা চলছে আটা-ময়দার বাজারেও। প্রতি কেজি খোলা আটা-ময়দা বিক্রি হচ্ছে যথাক্রমে ৬০ ও ৭০ টাকায়। আর প্যাকেটজাতের জন্য গুণতে হবে ৫ টাকা বেশি করে। বিক্রেতারা বলছেন, চাহিদার মাত্র এক চতুর্থাংশ পণ্য সরবরাহ করছেন মিলাররা। ব্যবসায়ী আশঙ্কা, গমের আমদানি বৃদ্ধি করা না গেলে, আটা-ময়দার বাজারে আরো বড় সংকট দেখা দিতে পারে।
/এসএইচ
Leave a reply