দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুৎ ফিরতে শুরু করলেও পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে সকাল হয়ে যেতে পারে বলে জানা গেছে। জাতীয় গ্রিডে এত বড় বিপর্যের কারণ এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) বলছে, ফল্ট রেকোর্ডার বিশ্লেষণ করলে জানা যাবে কারণ। যদিও বিষয়টি তদন্তে দুইটি কমিটি করার কথা জানিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে একযোগে জাতীয় গ্রিডের ইস্টার্ন অংশে (ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ) সমস্যা দেখা দেয়ায় অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সৃষ্টি হয়। বন্ধ হয়ে যায় এসব এলাকার বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো। আর তাতে বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়ে এসব এলাকার হাসপাতাল, বাসা-বাড়ি, দোকানপাটসহ সব স্থাপনা। বাদ যায়নি রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাও। বিপাকে পড়েন লাখ-লাখ মানুষ। হাসপাতালে ব্যাহত হয় চিকিৎসা সেবা।
এরমধ্যে এদিন সন্ধ্যার পর আস্তে আস্তে বিদ্যুৎ আসতে শুরু করে। রাজধানীর তুলনায় জেলা শহরে আলো ফিরে দ্রুত। তবে কোথাও কোথাও বিদ্যুৎ এসেও আবার চলে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
সন্ধ্যায় এক ফেসবুক পোস্টে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ঢাকা ও আশেপাশের অঞ্চলে বিদ্যুৎ রিস্টোর হচ্ছে। ইতোমধ্যে টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, জামালপুর, মানিকগঞ্জে বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল হয়েছে। এছাড়া ঢাকা, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, সিলেট, নারায়ণগঞ্জ ও সিদ্ধিরগঞ্জের আংশিক এলাকায়ও সরবরাহ চালু হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
অনাকাঙ্ক্ষিত অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে নসরুল হামিদ বলেন, ঢাকায় লোড বেশি হওয়ার কারণে সব লাইন সচল করতে কিছুটা দেরি হতে পারে।
বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান পিজিসিবির নির্বাহী পরিচালক মাসুম আলম বকসী জানান, রাতের মধ্যেই স্বাভাবিক হয়ে যাবে পরিস্থিতি। গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় বিদ্যুৎ সরবরাহে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে।
/এমএন
Leave a reply