ডিমের মোকামে সিন্ডিকেটের প্রবল আধিপত্য। মোবাইলে কথা বলেই পাইকারি বাজারে দাম বাড়িয়ে নেয়া হচ্ছে। তাই বাড়তি দরে ডিম কিনতে বাধ্য হচ্ছেন ক্রেতারা। তাদের অভিযোগ, কারসাজি রোধে বেচাকেনার প্রতিটি স্তরেই নজরদারি প্রয়োজন। তবে এই দাম বাড়ানোর দায় নিতে রাজি নন পাইকার বা খুচরা ব্যবসায়ীরা।
গেলো আগস্টের শুরুতে হু হু করে দাম বেড়ে ডজন গিয়ে ঠেকে ১৫৫ টাকায়। বাজার তদারকি আর আমদানির হুমকি আসায় তা নেমে আসে ১২০ টাকায়। তবে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝিতে আবারও মোকামে অস্থিরতা দেখা দেয়। তাতে প্রতি ডজন ডিম এখন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়।
লাগামহীনভাবে দাম উঠানামায় বিপাকে সাধারণ ক্রেতারা। বলছেন, প্রোটিনের মধ্যে ডিমটাই ভালো। কিন্তু সাধারণত যারা ডিম খায়, তারা এখন খেতে পারছে না। হয়তো লাগবে ৫টা, কিনছে ২টা।
খুচরা বিক্রেতাদের অভিযোগ, দাম উঠানামার নেপথ্যে কাজ করছে বড় বড় ব্যবসায়ীরা। আর পাইকারা বলছেন, গত ৩ দিন বাজার কিছুটা স্থিতিশীল ছিল। তবে দাম বাড়ানোর পায়তারা চলছে। মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে বাড়ানো হচ্ছে দাম। একটি কোম্পানি দাম বাড়ালে অন্য কোম্পানিও দাম বাড়ায়।
বাজারে দেশি মুরগীর ডিমের ডজনের দাম ২১০ আর হাঁসের ডিম ১৮০ টাকা। চলতি অর্থবছরে ডিম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ হাজার ২৬৬ কোটি পিস।
/এমএন
Leave a reply