ভারতে সিগারেটের বর্জ্য থেকে তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন পণ্য

|

ধূমপায়ীরা নিজের পাশাপাশি পরিবেশেরও ক্ষতি করেন। ধূমপান শেষে সিগারেটের অবশিষ্ট অংশ যেখানে-সেখানে ফেলে দেয় বেশিরভাগ ধূমপায়ী। যা পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতির কারণ। সিগারেটের ফেলে দেয়া অংশগুলো কুড়িয়ে ভারতের এক ফ্যাক্টরিতে তৈরি করা হচ্ছে নানা ধরনের পণ্য। যা পরিবেশ দূষণ রোধের পাশাপাশি অনেকের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে। খবর রয়টার্সের।

মূলত, তরুণ উদ্যোক্তা নামান গুপ্তা সিগারেটের ক্ষতিকর বর্জ্য কুঁড়িয়ে কাজে লাগাচ্ছেন। অভিনব এ কাজে পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি লাভবান হচ্ছেন আর্থিকভাবেও।

বর্জ্যগুলোকে মূলত কাগজ-তামাক-ফিল্টার তিনভাগে আলাদা করা হয়। বিভিন্ন পণ্য বানাতে কাজে লাগানো হয় তিনটি উপাদানই। কম্পোস্ট পাউডার থেকে শুরু করে বানানো হয় বালিশও।

কোড এফোর্ট প্রাইভেট লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা নামান গুপ্তা বলেন, প্রথমে একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমরা সিগারটের বর্জ্য থেকে কাগজ, তামাক ও ফিল্টার আলাদা করি। পরে কাগজ দিয়ে কাগজের বিভিন্ন পণ্য তৈরি করা হয়। আর তামাক থেকে তৈরি করা হয় কম্পোস্ট পাউডার। এছাড়া ফিল্টারগুলো দিয়ে খেলনা, বালিশসহ দৃষ্টিনন্দন অনেক পণ্য তৈরি করি আমরা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিওএইচও) তথ্য বলছে, ভারতে ধূমপায়ীর সংখ্যা প্রায় ২৭ কোটি। নয়াদিল্লির বিভিন্ন রাস্তা থেকেই প্রতিদিন সংগ্রহ করা হয় এক হাজার কেজির বেশি সিগারেট বর্জ্য।

নামান গুপ্তা বললেন, শুরু করেছিলাম মাত্র ১০ গ্রাম বর্জ্য কুড়িয়ে, এখন প্রতিদিন ফ্যাক্টরিতে জমা হয় হাজার কেজির বেশি। চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত আমরা ১২০ কোটি কেজির বেশি সিগারেটের বর্জ্য পুনরায় ব্যবহার করেছি। তবে চারপাশে যে পরিমাণ সিগারেট বর্জ্য আছে, আমরা এর মাত্র এক শতাংশ সংগ্রহ করতে পারছি।

পরিবেশ রক্ষায় অবদান রাখতে পেরে খুশি ফ্যাক্টরির কর্মীরাও। প্রেমা দেবি নামের এক কর্মী বলেন, ধূমপান শেষে সিগারেটের এই অংশগুলো মানুষ ফেলে দেয়। আমরা সেগুলো সংগ্রহ করে পরিষ্কার করি। এ কাজ করে আমরা অর্থ উপার্জনের পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষায় সহায়তা করি।

ভবিষ্যতে আরও বড় পড়িসরে কাজ করার ইচ্ছে কারখানা মালিকের। প্রতি মাসে গড়ে অন্তত ৩শ’ টন বর্জ্য সংগ্রহের লক্ষ্য তার।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply