বাংলাদেশে সন্ত্রাস না থাকায় আমেরিকা নাখোশ কিনা, সে বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) বিকেল ৪টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। জাতিসংঘে সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদানসহ যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর সম্পর্কে জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনে আসেন সরকারপ্রধান।
শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী তার সফরের অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান। পরে প্রশ্নোত্তর পর্বে এক সাংবাদিক জানতে চান, র্যাবের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তা এবং সংস্থাটির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় দেশটির সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কে এরকম টানাপোড়েন চলছে। এই সম্পর্ক নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মূল্যায়ন কী, কীভাবে দেখছেন?
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, র্যাব কাদের তৈরি? র্যাব তো যুক্তরাষ্ট্র তৈরি করেছে। তারা ট্রেনিং, অস্ত্র, প্রযুক্তি সবকিছু দিচ্ছে। তাহলে যেই সংস্থাটি (র্যাব) বাংলাদেশের সন্ত্রাস নির্মূল করলো, তাদের বিরুদ্ধে কেন নিষেধাজ্ঞা? তাহলে কি যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে সন্ত্রাস না থাকায় নাখোশ- আমার সেই প্রশ্ন। আমি এসব বিষয়ে জাতিসংঘের অধিবেশনের ভাষণে বলেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমেরিকা যেভাবে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন সেভাবেই কাজ করবে সেটাই স্বাভাবিক। তারাই আবার স্যাংশন দিয়েছে। যাদের দিয়ে সন্ত্রাস দমন করেছি তাদের ওপরই কেন স্যাংশন? স্যাংশন দিয়ে কার ক্ষতি হচ্ছে?
বাংলাদেশে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী অপরাধ করলে বিচার হয়, যুক্তরাষ্ট্রে হয় না বলেও এ সময় মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ৭৬ জন গুমের তালিকা তো সাংবাদিকরাই বের করেছেন তারা আসলে কোথায় আছে? গুম যত বড় করে দেখানো হয় তত বড় করে উদ্ধারের বিষয়টা গগণমাধ্যমে আসে না।
যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে ১৮ দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে সোমবার রাতে ঢাকায় ফেরেন শেখ হাসিনা। ১৫ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রীয় সফরে লন্ডনে যান তিনি। সেখানে তিনি রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া এবং রাজা তৃতীয় চার্লসের সিংহাসনে আরোহণ অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
এরপর নিউইয়র্কের উদ্দেশে ১৯ সেপ্টেম্বর লন্ডন ত্যাগ করেন। যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা ২৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৭তম অধিবেশনে ভাষণ দেন এবং এর ফাঁকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। স্থানীয় সময় ২৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় সড়কপথে নিউইয়র্ক থেকে ওয়াশিংটন ডিসিতে যান প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা।
/এনএএস
Leave a reply