গাড়ি বোমা হামলায় নিহত রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু আলেক্সান্দার দুগিনের মেয়ে দারিয়া দুগিনা (২৯) এর ওপর হামলার নির্দেশ ইউক্রেনের সরকারের একটি অংশ দিয়েছিল বলে মনে করে যুক্তরাষ্ট্র। তবে যুক্তরাষ্ট্র এ হামলার সাথে কোনোভাবেই যুক্ত নয় বলে জানিয়েছে ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্ট। খবর দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের।
বুধবার (৫ অক্টোবর) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য সামনে আনে দ্য নিউইয়র্ক টাইমস।
নাম না প্রকাশের শর্তে পেন্টাগনের এক কর্মকর্তা নিউইয়র্ক টাইমসকে জানিয়েছেন, এ হামলার ব্যাপারে ইউক্রেনের সম্পৃক্ততার বিষয়টি গত সপ্তাহেই জানতে পেরেছেন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা। তবে ইউক্রেন সরকারের কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ এ হামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন, কে বা কারা হামলা চালিয়েছে এবং এ হামলার ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট ভলোদমির জেলেনস্কি সায় দিয়েছিলেন কিনা- এসব ব্যাপারে কিছুই বলেননি তিনি।
ধারণা করা হচ্ছে, পুতিনের বন্ধু আলেক্সান্ডার দুগিনকে হত্যা করতেই তার গাড়িতে বোমা রাখা হয়। কিন্তু ওইদিন তিনি অন্য গাড়ি ব্যবহার করায় প্রাণে বেঁচে যান। তবে হত্যার শিকার হয় তার মেয়ে দারিনা দুগিনা।
তবে এ হামলার ব্যাপারে এখন পর্যন্ত নিজেদের ভূমিকার বিষয়টি অস্বীকার করেছে ইউক্রেন। প্রেসিডেন্ট ভলোদমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা মিখাইলো পোদোলায়েক নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেছেন, দারিয়া দুগিনা এমন গুরুত্বপূর্ণ কেউ ছিলেন না যাকে ইউক্রেন হত্যা করবে।
এ হামলার পর রুশ গোয়েন্দা সংস্থা এফএসবি জানিয়েছিল, গত জুলাইয়ে একজন ইউক্রেনীয় নারী তার মেয়েকে নিয়ে মস্কোয় এসেছিলেন। দুগিনা যেখানে থাকতেন সেখানে তিনি বাসা ভাড়া নেন এবং দুগিনার ওপর হামলার পরপরই তিনি রাশিয়া ছেড়ে পালিয়ে যান।
প্রসঙ্গত, গত আগস্টে মস্কোয় একটি অনুষ্ঠান শেষে গাড়িতে করে ফিরছিলেন দুগিনা। পথে তার গাড়িটি বিস্ফোরিত হলে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন। তখনই রাশিয়া দাবি করেছিল, ইউক্রেনের গোয়েন্দারা এ হামলা চালিয়েছে।
/এসএইচ
Leave a reply