পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজমের সমসাময়িক ক্যারিয়ার নুরুল হাসান সোহানের। তবে ৪২ টেস্ট খেলা বাবরের বিপরীতে সোহান খেলেছেন মাত্র ৭টি টেস্ট। রান খরায় যেখানে প্রতিনিয়ত পুড়ছেন টাইগার টি-টোয়েন্টি সহ-অধিনায়ক, সেখানে রানের ফুলঝুরি ঝরছে বাবর আজমের ব্যাট থেকে। সব মিলিয়ে সূর্যকুমার যাদব কিংবা বাবর আজমদের ব্যাটে যতোটা তাদের দেশ এগিয়েছে সে হিসেবে ঠিক উল্টো পালে বইছে বাংলাদেশের ক্রিকেটের হাওয়া।
২০১৬ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখেন নুরুল হাসান সোহান ও বাবর আজম। টাইগার সহ-অধিনায়কের পথচলা ওডিআই দিয়ে শুরু হলেও পাকিস্তান দলপতি নাম লেখান ক্রিকেটের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ফরম্যাট টেস্টের মাধ্যমে। কেবল ভিন্ন ফরম্যাটে অভিষেকই নয়, পার্থক্যটা দুই ক্রিকেটারের পারফরমেন্সেও স্পষ্ট।
দেশের ক্রিকেটে উল্টো হাওয়া (ভিডিওটি দেখতে ক্লিক করুন এখানে)
অভিষেকের পর থেকেই নিজের জাত চিনিয়ে যাচ্ছেন বাবর আজম। আনপ্রেডিক্টেবলের তকমা ঘুঁচিয়ে নতুনভাবে বিশ্ব ক্রিকেটের মঞ্চে উপস্থাপন করেছেন পাকিস্তানকে। ঈর্ষণীয় ক্যারিয়ার গ্রাফে প্রতি মুহূর্তে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন নিজেকেই। টেস্ট, ওডিআই, টি-টোয়েন্টি সবখানেই রেখে যাচ্ছেন সফলতার স্বাক্ষর। ৪২ টেস্টে ৪৭ এর বেশি গড়ে করেছেন ৩ হাজার ১২২ রান। দেখা পেয়েছেন ২৩’টি অর্ধশতক ও ৭ শতকের। ধারাবাহিক পারফরমেন্স ওডিআই ও টি-টোয়েন্টিতেও।
প্রতিনিয়ত বাবর যেখানে নিজেকে অপরিহার্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন ঠিক বিপরীত স্রোতে যেনো নুরুল হাসান সোহান। অভিষেকের পর খেলেছেন মাত্র ৭টি টেস্ট, ৬টি ওয়ানডে ও ৩৭টি টি-টোয়েন্টি। যেখানে দেখা পাননি কোনো শতকের, কেবল ৩টি হাফ সেঞ্চুরি আছে টেস্টে। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের র্যাংকিংয়ের পার্থক্যের মতোই তাদের সমীকরণটাও বেশ স্পষ্ট। একসাথে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু করলেও এখন তারা দুই মেরুর দুই বাসিন্দা।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাকি দেশগুলো যতোটুকু এগিয়েছে ঠিক ততোটুকুই যেনো পিছিয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেট। ভারতের সূর্যকুমার যাদব এক বছরে যে কয়টি ছয় হাঁকিয়েছেন, বাংলাদেশের পুরো দলও ছুঁয়ে দেখতে পারেনি সে সংখ্যা। সূর্যকুমার-বাবররা পারফরমেন্স দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন নিজেদের ক্রিকেটকে। আর আগের ম্যাচের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে পরের ম্যাচে “ভালো করা”র প্রত্যয়ে আটকে থাকছে দেশের ক্রিকেট।
/এসএইচ
Leave a reply