বিশ্বকাপের শুরুটা মর্মান্তিক হয়েছিল সৌদি আরবের। স্বাগতিক রাশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে গুনে গুনে ৫ গোল হজম করতে হয়েছে তাদের। সে হিসেবে পরের ম্যাচে উরুগুয়ের বিপক্ষে ১-০ গোলের পরাজয়কে সম্মানজনকই বলতে হবে। তবে শেষটা দারুণভাবে করলো সৌদিরা। ভোলগাগ্রাদে মিসরকে ২-১ গোল হারিয়েছে তারা।
অথচ, গ্রুপ-এ’র শেষ ম্যাচে ফেভারিট ছিল মিসরই। ২২ মিনিটে মোহাম্মদ সালাহর গোলে এগিয়েও যায় তারা। মাঝমাঠ থেকে দেওয়া আবদাল্লাহ সাইদের ক্রসটি দুই সৌদি ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে পায়ে নেন সালাহ। গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে পোস্টে চালান করে দিতে একদমই সময় নেননি মিসরীয় সুপারস্টার। অবশ্য, মিনিটখানেক পরই ত্রেজেগের ডিফেন্স চেরা পাস থেকে আরেকটি সহজ গোলের সুযোগ পান মোহাম্মদ সালাহ। কিন্তু গোলরক্ষককে একা পেয়েও সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেন না তিনি!
অবশ্য একা সালাহকে দুষলেও অন্যায় হয়ে যায়। মিসরের মিডফিল্ডার ত্রেজেগে ৩৩ ও ৩৪ মিনিটে যে দুটি সুযোগ মিস করলেন সেগুলোকে কী বলবেন? বিশেষ করে ম্যাচের ৩৪ মিনিটে সালাহ পাস থেকে পাওয়া গোলের সুযোগ মিস করলে পাড়ার ফুটবলাররাও লজ্জা পেতেন।
অন্যদিকে, মিসরের মতো এত সুযোগ না পেলেও বক্সের ভেতরে আহমেদ ফাতেহির হ্যান্ডবল থেকে পেনাল্টি পায় সৌদি আরব। কিন্তু সেই পেনাল্টিই কিনা মিস! সবচেয়ে বেশি বয়সী ফুটবলার হিসেবে বিশ্বকাপে খেলতে নামা মিসরের গোলরক্ষক এসাম এল-হাদারি সৌদি কিকার ফাহাদ আল-মুয়াল্লাদের নেয়া জোরালো শট ঠেকিয়ে দেন।
তখনও মনে হচ্ছিল গোল মিসের এই মহোৎসবে শেষ হাসি হাসবে মিসর। কিন্তু প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে দারুণ এক গোলে সৌদি আরবকে সমতায় ফেরান সালমান আল ফারাজ। বক্সে ফাহাদকে ফাউল করেন আলী গাবর। ভিএআরের সহায়তায় নিয়ে পেনাল্টির ঘোষণা দেন রেফারি। এবার আর গোল মিস করেনি সৌদি আরব। আর কতই বা মিস করা যায়!
দ্বিতীয়ার্ধে মিসর যেন আরও নিষ্প্রভ। বলার মতো খুব বেশি আক্রমণ তারা করতে পারেনি। বরং সৌদি আরবের বেশ কিছু আক্রমণ সামলে সক্ষমতার পরিচয় দিলেন মিসরীয় ডিফেন্ডাররা। খেলা যখন ১-১ গোলে ড্র বলেই মনে হচ্ছিল তখন অতিরিক্ত সময়ে সৌদি আরবের সালেম আল-দাওসারি গোল করে বসেন।
নিয়ম রক্ষার ম্যাচে শেষ হাসি হাসলো সৌদি আরব। আর একরাশ হতাশা নিয়ে রাশিয়া বিশ্বকাপকে বিদায় জানালো মোহাম্মদ সালাহ’র মিসর।
যমুনা অনলাইন: টিএফ
Leave a reply