জ্বালানি সংকটে ফের কাঠের যুগে ফিরছে ইউরোপ

|

ছবি: সংগৃহীত।

রাশিয়ার তেল ও গ্যাসের সরবরাহ নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে জ্বালানির আদি উৎস কাঠের দিকে ঝুঁকছে ইউরোপীয়রা। ইউরোপে কয়েকদিন পরই শীতের মৌসুম শুরু হবে। তাই এখন থেকেই কাঠের লাকড়ি যোগাড় করে রাখছেন তারা। চাহিদা বাড়ায় এখন এর দামও দ্বিগুণ হয়ে গেছে। লাকড়ির খোঁজে মরিয়া অনেকে আবার আশপাশের গাছও কেটে ফেলছেন। ফলে ইউরোপ লাকড়ির যুগে ফিরলে পরিবেশ দূষণ বাড়বে বলে সতর্ক করেছে বিশ্লেষকরা। খবর ব্লুমবার্গের।

শীতে ঘর গরম রাখতে ইউরোপের বড় নির্ভরতা রাশিয়া থেকে পাইপলাইনে আসা গ্যাস। কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে উত্তেজনায় আসন্ন শীতে জ্বালানি সংকটের প্রবল শঙ্কা দেখা দিয়েছে দেশগুলোতে। রাশিয়া এরই মধ্যে কমিয়ে দিয়েছে গ্যাসের সরবরাহ। তার ওপর নর্ড স্ট্রিম পাইপলাইনে বিস্ফোরণের পর শঙ্কা বেড়েছে আরও। এ অবস্থায় সম্মেলন করেও জ্বালানির দাম বেধে দেয়ার সিদ্ধান্তে একমত হতে পারেননি ইইউ নেতারা।

আগে থেকেই ইউরোপের প্রায় ৪ কোটি মানুষ লাকড়ি ব্যবহার করতো ঘর গরম রাখার জন্য। এখন এর চাহিদা বেড়ে গেছে বহুগুণ। শীতের মৌসুমে একটি ঘর গরম রাখতে প্রায় এক টন লাকড়ি প্রয়োজন হয়। অনেকে তাই এখন থেকেই মজুদ করে রাখছেন। কয়েকটি অঞ্চলে লাকড়ির চাহিদা এতোটাই বেশি যে, রীতিমতো পাহারা দিয়ে রাখতে হচ্ছে এসব কাঠ।

লাকড়ির পাশাপাশি কয়লার চাহিদাও বেড়ে গেছে ইউরোপে। কয়লা ও লাকড়ি ব্যবহার করা যায় এমন হিটিং মেশিন ও চুলার চাহিদাও বেড়েছে। কাঠের বাজার নিয়ন্ত্রণে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে দেশগুলো। কেউ লাকড়ির দাম নির্ধারণ করে দিচ্ছে আবার কোনো দেশ রফতানি নিষিদ্ধ করছে এরই মধ্যে।

এদিকে লাকড়ির চাহিদা বহুগুণে বৃদ্ধি ও সেই তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় স্বাস্থ্য ও পরিবেশের ক্ষতির বিষয়টি নিয়েও শঙ্কা বাড়ছে। অনেকে মনে করছেন, শীতের হাত থেকে বাঁচতে মানুষ এখন হাতের কাছে যা পাবে তাই পোড়াবে।

মূলত, নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি চার মাস ইউরোপে তাপমাত্রা কম থাকে। জ্বালানির চাহিদাও এ সময় সবচেয়ে বেশি। তাই আসন্ন শীত ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন ইউরোপীয়রা।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply