উত্তেজনাপূর্ণ খেলার মধ্যে দিয়ে শেষ ষোলতে উঠলো আর্জেন্টিনা। মেসির গোলে ১-০ এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করলেও বিরতির পর মাঠে পেনাল্টিতে সমতা আনে নাইজেরিয়া।
এরপর খেলায় পরতে পরতে ছড়িয়ে থাকল নাটক আর রোমাঞ্চ। পারবে আর্জেন্টিনা? না বিদায় নেবে দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা? অপেক্ষা করতে হলো চিত্রনাট্যের শেষ পর্যন্ত। শেষ অবধি পারলেন আলবিসেলেস্তেরা। লিওনেল মেসি ও মার্কস রোহোর কাঁধে চড়ে নাইজেরিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে গেলেন তারা।
সেন্ট পিটাসবার্গে আক্রমণাত্মক শুরু করে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া আর্জেন্টিনা। শুরুতেই নাইজেরিয়ার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন জয় পেতে মরিয়া লিওনেল মেসিরা। মুহুর্মুহু আক্রমণে প্রতিপক্ষকে ব্যতিব্যস্ত রাখেন তারা। এর ফলও আসে হাতেনাতে। ১৪ মিনিটে এভার বানেগার থ্রু থেকে ডান পায়ের শটে বল জালে জড়িয়ে দলকে লিড এনে দেন মেসি। এ নিয়ে বিশ্বকাপে ছোট ম্যাজিসিয়ানের গোলসংখ্যা দাঁড়াল ৬।
এগিয়ে গিয়ে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠে আর্জেন্টিনা। একের পর এক আক্রমণ দাগান তারা। সুযোগও আসে। ৩২ মিনিটে ফাঁকায় বল পেয়ে যান অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। তবে ফাউল করে তাকে থামান লিওন বালুগুন। এতে হলুদ কার্ড দেখেন এ নাইজেরিয়ান। এতে ফ্রি-কিক পায় আর্জেন্টিনা।
স্বাভাবিকভাবেই কিক নেন মেসি। তবে তার দুর্দান্ত শট অসামান্য দক্ষতায় রুখে দেন গোলরক্ষক উঝো। এরপর বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে থাকলেও আর গোল পাননি আলবিসেলেস্তেরা। শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলে এগিয়ে বিরতিতে যান তারা।
বিরতি থেকে ফিরে আক্রমণে গতি বাড়ায় নাইজেরিয়া। ফলে সমতায় ফিরতেও সময় লাগেনি। ৪৯ মিনিটে আক্রমণে ওঠা লিওন বালুগুনকে ডি বক্সে ফাউল করেন হাভিয়ের মাশ্চোরেনা। এতে তাকে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। ফলে পেনাল্টি পায় নাইজেরিয়া। ৫১ মিনিটে সফল স্পট কিকে বল জালে জড়ান ভিক্টর মোজেস।
এদিকে দিনের অপর ম্যাচে আইসল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়েছে ক্রোয়েশিয়া।
Leave a reply