চেক ক্যাশ না করলে কেনা যাবে না শেয়ার, সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন

|

চেক ক্যাশ করা ছাড়া গ্রাহকের শেয়ার ক্রয় কার্যক্রম শেষ হবে না। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের এ আদেশে ক্ষুব্ধরা বলছেন, এতে তারল্য সংকট দেখা দিতে পারে। এছাড়া এ ধরনের সিদ্ধান্তের ফলে কমে যাবে লেনদেন, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরাও বাধার মুখে পড়বেন বলে মন্তব্য করছেন তারা। তাছাড়া এ ধরনের সিদ্ধান্তকে হঠকারী বলেও মন্তব্য করেছেন বিশ্লেষকরা। প্রশ্ন তুলেছেন যৌক্তিকতা নিয়েও।

২০১০ সালে স্থগিত হওয়া সিদ্ধান্ত নতুন করে বাস্তবায়নে সব ব্রোকারেজ হাউজকে আদশে দিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ। ডিএসইর চিঠিতে বলা হয়েছে চেক নগদায়ন না হলে গ্রাহকের অনুকূলে শেয়ার ক্রয় আদেশ বাস্তবায়ন করা যাবে না। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। এ আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন তারা। পুঁজিবাজারে অস্থিরতা তৈরির জন্য এ আদেশ জারি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করছে কেউ কেউ।

পুঁজিবাজারে বেশিরভাগ লেনদেন হয় ক্যাশ চেকের মাধ্যমে। এটি বন্ধ হয়ে গেলে বড় ধরনের সংকট দেখা দিতে পারে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠান এবং বড় বিনিয়োগকারীদের জন্য লেনদেন করাই কঠিন হয়ে যাবে। এর ফলে লেনদেনের পরিমাণ কমে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা তাদের।

ডিএসইর এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান। তিনি বলেছেন, এটি স্থিতিশীল পুঁজিবাজার প্রতিষ্ঠার অন্তরায় হিসেবে কাজ করবে। কেননা দপতনের সময় চাইলেও বাজারকে সহায়তা করা সম্ভব হবে না। তাই এ ধরনের চিঠির যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।

২০১০ সালেও একই আদেশ জারি করেছিল বিএসইসি। পরের দিনই বড় ধরনের ধ্বস নামে পুঁজিবাজারে। একদিনেই সূচক কমে যায় প্রায় সাড়ে ৫শ পয়েন্ট। পরে দুইদিনের মাথায় সেই আদেশ স্থগিত করতে বাধ্য হয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply