এতিম তিন কন্যার বিয়ে, উপহার পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী

|

আরিফুর রহমান সবুজ:

জন্ম থেকে পিতা-মাতাহারা। চট্টগ্রামের সরকারি শিশু নিবাসই ছিল তাদের পরিবার। সেখানেই বেড়ে ওঠা, স্বাবলম্বী হওয়া। সেই অনাথ তিন কন্যার বিয়েও হলো মহা ধুমধামে। জমকালো আয়োজন, ৬’শ জনের খাবার, ওয়েডিং ফটোগ্রাফি, উপহার সামগ্রী, সবই ছিল বিয়েতে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ব্যতিক্রমী এ আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্টজনরা। নিমন্ত্রিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও।

সুসজ্জিত গাড়ি বহরযোগে অফিসার্স ক্লাবে উপস্থিত তিন কন্যা। লাল বেনারসি পরে একে একে নেমে আসেন মর্জিনা, মুক্তা, তানিয়া।

জন্মের পর থেকে ঘর হারা এই তিন কন্যা বিয়ের আসরে ছিলেন উচ্ছ্বল। কারণ, আলো ঝলমলে এই দিনে অনাথ এই মেয়েরা খুঁজে পেয়েছেন তাদের পছন্দের জীবনসঙ্গী। চট্টগ্রামে সরকারি শিশু নিবাসে বড় হওয়া এ তিনজনকে স্বাবলম্বী করার পর বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) রাতে জমকালো বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজন করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।

কনে মুক্তা আক্তার বলেন, এতো ধুমধাম করে আমার বিয়ে হচ্ছে, এটা দেখেই আমার খুব ভালো লাগছে। আমি অনেক খুশি। মর্জিনা আক্তার বলেন, বাবা-মা থাকলে হয়তো এতো বড় আয়োজন করতে পারতেন না।

কর্মসূত্রেই তাদের সাথে, পরিচয় ওমর ফারুক, নুরউদ্দিন এবং হেলাল উদ্দিনের পরিচয়, সেখান থেকে প্রণয়, তারপর মহা ধুমধামে বিয়ে।

জমকালো এই বিয়ের আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের মেয়র, সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক থেকে শুরু করে সবাই। নিমন্ত্রিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীও। পাঠিয়েছেন বিয়ের উপহার।

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীও এই বিয়েতে নিমন্ত্রিত ছিলেন। তিনি কনেদের জন্য স্বর্ণালংকার পাঠিয়েছেন। আমরা চেয়েছে, এই জাঁকজমক বিয়ের মাধ্যমে তাদের স্বজন না থাকার যে ব্যথা সেটি তারা ভুলে যাবে।

ভবিষ্যতেও শিশু নিবাসের এমন অনাথ মেয়েদের সহায়তায় সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে আসবেন বলে আশা সমাজসেবা অধিদফতরের। বিয়েতে প্রত্যেক কনের কাবিন সাত লাখ টাকা, বরযাত্রীসহ অতিথি ছিলেন প্রায় ৬শ’ জন।

/এনএএস


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply