রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ইউক্রেনের বেসামরিক নাগরিকদের ব্রিটেনের সামরিক ঘাঁটিতে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। চিকিৎসক, চাকরিজীবী ও নৃত্যশিল্পীসহ সব পেশার মানুষ অংশ নিয়েছেন এই সামরিক প্রশিক্ষণে। ৫ সপ্তাহের এই প্রশিক্ষণে লড়াই, অভিযান এবং যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতি সামাল দেয়ার কৌশল শেখানো হয়। এখন পর্যন্ত প্রায় ৬ হাজার ইউক্রেনীয়কে এই প্রশিক্ষণ দিয়েছে ব্রিটেন। মোট ২০ হাজার বেসামরিককে প্রশিক্ষণ দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে যুক্তরাজ্যের। যুক্তরাষ্ট্রও আরও অস্ত্র সরবরাহের আশ্বাস দিয়েছে। তবে বিশ্লেষকদের মত, ইউক্রেন ইস্যুতে ভুল পথে হাঁটছে ইউরোপ। খবর বিবিসির।
ব্রিটেনের লে.কর্নেল কেম্পলে স্মিথ বলেন, শুধু অস্ত্র চালনা নয়, বিভিন্ন ধরনের যুদ্ধ, বিশেষ করে গেরিলা হামলার প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে ইউক্রেনীয়দের। অভিযান এবং প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য যে মূল ভিত্তি প্রয়োজন সেটি আমরা তৈরি করে দিয়েছি। তবে এতেই তারা আগের চেয়ে অনেক বেশি পেশাদার এবং যোগ্য হয়ে উঠেছেন।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে ইউরোপ। ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তাই আগের চেয়ে আরও ঐক্যবদ্ধ আমরা। নতুন করে কিয়েভকে আরও অস্ত্র সহায়তা করা হবে। রুশ বাহিনী ইউক্রেন না ছেড়ে যাওয়া পর্যন্ত আমরা লড়াই চালিয়ে যাবো।
যদিও অনেক বিশ্লেষকের মত, ইউক্রেন ইস্যুতে ভুল নীতি অনুসরণ করছে ইউরোপ। এ নিয়ে ইউনিভার্সিটি অব কাতালুনিয়ার অধ্যাপক ফার্নান্দো কল্লি বলেন, ইউক্রেন ইস্যুতে ভুল নীতিতে চলছে ন্যাটো এবং ইউরোপ। শুরু থেকেই কিয়েভকে অস্ত্র সহায়তা দিয়ে আসছে সামরিক জোটটি। এতে যুদ্ধ শুধু দীর্ঘায়িতই হচ্ছে। যা ইউরোপকেই ক্ষতির মধ্যে রেখেছে। যুক্তরাষ্ট্রের কারণেই ন্যাটো ঘি ঢালছে এই যুদ্ধে। মনে রাখতে হবে, আলোচনা এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা ছাড়া এই সংকট থেকে উত্তরণ সম্ভব না।
এসজেড/
Leave a reply