জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে নিহত সৈনিক শরিফের দাফন সিরাজগঞ্জে

সিনিয়র রিপোর্টার সিরাজগঞ্জ:

মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে শান্তিরক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার সময় পুঁতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে নিহত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীর সদস্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সৈনিক শরীফের দাফন শনিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার বেড়া খারুয়া কবরস্থানে সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে দুপরে তার মরদেহ সেনাবাহিনীর গাড়িযোগে গ্রামের বাড়ি বেড়া খারুয়া গ্রামে পৌঁছায়।

সেনাসদস্যদের কাছ থেকে সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকায় মোড়ানো কফিনে লাশ গ্রহণ করেন শরীফের বাবা লেবু তালুকদার। এসময় স্বজন ও প্রতিবেশীসহ গ্রামবাসী উপস্থিত ছিলেন। লাশ দেখে স্বজনরা কান্নায় ভেঙ পড়েন। তাদের আহাজারিতে ভারি হয়ে ওঠে পরিবেশ। বেলা ২টা ৩০ মিনিটে জানাজা শেষে রাষ্টীয় মর্যাদায় তাকে বেড়াখারুয়া কবরস্থানে দাফন করা হয়।

তিন ভাইবোনের মধ্যে শরিফ ছিলেন সবার বড়। বেলকুচির আলহাজ সিদ্দিক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করার পর গত ২০১৭ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে যোগদান করেন শরীফ। গত বছর ডিসেম্বর জাতিসংঘ মিশনে যান।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি পদাতিক ব্যাটালিয়ন ২০২১ সালের ৯ নভেম্বর থেকে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে শান্তিক্ষায় নিয়োজিত থাকে। ৪ আক্টোবর দুর্গম এলাকায় মোতায়েন অন্যতম অস্থায়ী ক্যাম্প কুই থেকে পরিচালিত যান্ত্রিক টহলের একটি দল মেজর আশরাফের নেতৃত্বে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কাইতা এলাকায় টহলে যায়। বাংলাদেশ সময় রাত ১টা ৩৫ মিনিটে ফেরার পথে টহল কমান্ডার মেজর আশরাফকে বহনকারী প্রথম গাড়িটি মাটিতে পুঁতে রাখা আইইডি বিস্ফোরণে পতিত হয়। বিস্ফোরণে গাড়িটি প্রায় ১৫ ফুট দূরে ছিটকে পড়ে। ঘটনাস্থলেই সৈনিক শরিফ, সৈনিক জাহাঙ্গীর ও সৈনিক জসিম মারাত্মক আহত হন। জরুরি ভিত্তিতে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৪৪ কিলোমিটার দূরে বোয়ারে মিনুসকা হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

/এডব্লিউ