স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে যুবককে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের অভিযোগ, আটক ১

|

ছবি: সংগৃহীত।

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:

ঝিনাইদহের মহেশপুরে বকুল (৩০) নামে এক যুবককে শ্বশুর বাড়িতে গাছে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ভোলাডাঙ্গা গ্রাম থেকে খাইরুল ইসলাম নামের একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ভোলাডাঙ্গা গ্রামে ঘটে এ ঘটনা। স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার বিকেলে মালয়েশিয়া ফেরত বকুলকে তার সাবেক স্ত্রী লতিফা খাতুন ও পরিবারের লোকজন ধরে নিয়ে যেয়ে। পরে লতিফা ও তার পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে গাছের সাথে দড়ি দিয়ে বেঁধে মধ্যযুগী কায়দায় তাকে নির্যাতন করে। পিটিয়ে তারা বকুলের হাত ও পা ভেঙে দেয়। এ সময় বকুলের একটি চোখও তারা নষ্ট করে দিয়েছে বলে অভিযোগ বকুলের পরিবারের সদস্যদের।

পরিবারের সদস্যরা জানান, মহেশপুর উপজেলার ভোলাডাঙ্গা গ্রামের খোদা বক্সের ছেলে বকুল ৭-৮ বছর আগে একই গ্রামের লুৎফর রহমানের মেয়ে লতিফা খাতুনকে বিয়ে করেন। পরে স্ত্রীকে রেখে মালয়েশিয়া পাড়ি জমান বকুল। বকুল বিদেশে থাকা অবস্থায় স্ত্রীর নামে ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা পাঠাতেন। আশা ছিল, দেশে ফিরে সুখে সংসার বাঁধবেন তারা। কিন্তু বকুলের দেশে ফিরে আসার কথা শুনে স্ত্রী লতিফা তাকে ডিভোর্স দিয়ে পরকীয়া প্রেমিক খালাতো ভাইকে বিয়ে করে। বকুল দেশে ফিরে টাকার জন্য শ্বশুর বাড়ির লোকজনকে চাপ দিলে একাধিক সালিশ বৈঠক বসে। তবে এর কোনো সুরাহা হয়নি।

পরিবারের সদস্যরা আরো জানান, শুক্রবার বিকালে স্ত্রী লতিফা ও তার পরিবারের সদস্যরা রাস্তা থেকে বকুলকে জোর পূর্বক ধরে নিয়ে যায় তাদের বাড়িতে। পরে বকুলকে বাড়ির একটি গাছে দড়ি দিয়ে বেঁধে বকুলের স্ত্রী লতিফা, খাইরুলসহ তার পরিবারের ৬ থেকে ৭ জন লাঠি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে বকুলকে গুরুতরভাবে আহত করে।

এ ঘটনায় শুক্রবার রাতেই মহেশপুর থানায় ৯ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়। কিন্তু মামলার মূল আসামিরা এখনও রয়েছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে।

এ নিয়ে মহেশপুর থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) সেলিম মিয়া জানান, এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে। রাতে অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত আসামি খাইরুলকে আটক করা হয়েছে।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply