ইমরানকে অযোগ্য ঘোষণার প্রতিবাদে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সমাবেশের প্রস্ততি পিটিআইয়ের

|

পিটিআই প্রধান ও সাবেক পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার জেরে এখন উত্তপ্ত পাকিস্তান। দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রতিবাদ সমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছে তার দল তেহরিক-ই-ইনসাফ। পিটিআই এর অভিযোগ, জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে ইমরানকে জাতীয় নির্বাচন থেকে বিরত রাখার ষড়যন্ত্র চলছে। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়ার ঘোষণাও দিয়েছে দলটি। খবর দ্য ডনের।

আলোচিত তোষাখানা দুর্নীতি মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। বাতিল করেছে তার পার্লামেন্টের সদস্যপদও। এর প্রতিবাদে, ইসির রায় প্রত্যাখ্যান করে রাজপথে নেমেছেন পিটিআই সমর্থকরা। তাদের অভিযোগ, রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়েই, কৌশলে ইমরান খানকে সরিয়ে দিতে চাইছে সরকার।

শুক্রবার (২২ অক্টোবর) নির্বাচন কমিশনের ঘোষণার পরপরই বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে ইসলামাবাদ, করাচি, পেশোয়ার, লাহোরসহ পাকিস্তানের বড় বড় শহরগুলো। রাজপথে অবরোধ আর অগ্নিসংযোগ করেন আন্দোলনকারীরা। বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সাথে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় বিক্ষোভকারীদের।

ইমরান খানের একজন সমর্থক বলেন, আমরা জানতাম এমন কোনো ঘোষণা আসবে। আমরা পিটিশনের জন্য তৈরি। পুরো জাতি ইমরান খানের সাথে আছে। তিনি এক ডাক দিলেই সবাই রাজপথে নামবে। তার নির্দেশের অপেক্ষায় আছি। এখন আমরা শান্তিপূর্ণভাবেই সমাবেশ করছি। এটা আমাদের অধিকার। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমরা ইমরানের পাশে থাকবো। তার জন্য জীবন দিয়ে দেবো। আমাদের আন্দোলন চলবেই।

এর আগে, ইমরান খানের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে রাষ্ট্রীয় উপহার বিক্রির অভিযোগ তুলে গত আগস্টে মামলা করেন এক পিএমএলএন নেতা।

এদিকে, পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের দাবি- বিদেশি উপহার বিক্রির সুযোগ থাকলেও, সেখান থেকে পাওয়া ৬ লাখ ৩৫ হাজার ডলার সমপরিমাণ সম্পদের তথ্য গোপন করা হয়েছে। আর তাই নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে পিটিআই প্রধানকে।

ইমরান খানের বিরুদ্ধ্বে মামলা দায়েরকারী পিএমএলএন নেতা মহসিন নওয়াজ বলেন, আমাদের সংবিধান মেনে চলা উচিত। এটা কোনো রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নয়। এটা একটি আইনি প্রক্রিয়া।

এদিকে, নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলছে তেহরিক-ই-ইনসাফ। ইমরানের দাবি, নিয়ম মেনেই তোশাখানার উপহার কিনেছিলেন তিনি। কর পরিশোধের রসিদও আছে তার কাছে। তাই রায়ের বিরুদ্ধে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে যাবেন তিনি। দিয়েছেন বড় ধরনের আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও।

ইমরান খান বলেন, আমি কোনো অবৈধ কাজ করিনি। সবকিছুর বৈধ কাগজপত্র আছে। যা আদালতে তুলে ধরা হবে। সবাই প্রস্তুতি নিন। চলতি মাসের শেষে লং মার্চ আয়োজন করবো। যা দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রতিবাদ কর্মসূচি হবে ইনশাআল্লাহ।

প্রসঙ্গত, আদালতেও নির্বাচন কমিশনের রায় বহাল থাকলে আগামী ৫ বছর ভোটে অংশ নিতে পারবেন না পিটিআই নেতা ইমরান খান।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply