কুমিল্লায় প্রতারণা করে সম্পদ নিয়ে নারী নির্যাতনের মামলা প্রবাসীর স্ত্রীর

|

কুমিল্লা ব্যুরো:

দুটি কিডনি বিকল হয়ে যাওয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন স্বামীর নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ দুই শিশু সন্তান নিয়ে স্ত্রী চলে গেছেন বাপের বাড়ি। করেছেন অসুস্থ স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুক ও নারী নির্যাতনের মামলা। কুমিল্লায় এমন অভিযোগ এনেছেন এক প্রবাসী। বাবার দেয়া একটি কিডনি দিয়ে বেঁচে থাকা প্রবাসী সব হারিয়ে দিশেহারা।

স্ত্রী-সন্তানরা ছেড়ে চলে গেছে দূরে। সাথে নিয়ে গেছে ১৪ বছর প্রবাসে অর্জিত অর্থসম্পদ। সব হারিয়ে দিশেহারা রবিউলের সঙ্গী চোখের পানি আর স্মৃতির অ্যালবাম।

জীবিকার তাগিদে ২০০৪ সালে সৌদি আরব পাড়ি জমান কুমিল্লার সদর উপজেলার ধনুয়াখলা গ্রামের রবিউল। দশ বছর পর দেশে ফিরে বিয়ে করেন বুড়িচং উপজেলার চানগাছা গ্রামের রিপা আক্তারকে। দাম্পত্য জীবনে তাদের দুই কন্যা সন্তান। তাদের নিয়েই ঘর ছেড়েছেন স্ত্রী।

২০২০ সালে দুটি কিডনিতেই জটিলতা দেখা দেয়। এবছর তার বাবার একটি কিডনি নিজ শরীরে প্রতিস্থাপনের জন্য ভর্তি হন হাসপাতালে। তার দাবি, এই সুযোগে স্ত্রীর নামে ব্যাংকে গচ্ছিত ১৫ লাখ টাকা, দশ ভরি স্বর্ণ আর দুই মেয়েসহ বাবার বাড়ি চলে যায় স্ত্রী রিপা। সেখানে গিয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে করেন যৌতুক ও নারী নির্যাতনের মামলা।

বাবার দেয়া কিডনিতে জীবন বাঁচলেও দুঃশ্চিন্তা তারা করে বেড়াচ্ছে রবিউলের বাবা-মাকে। ছেলের এমন করুন পরিণতি মেনে নিতে পারছেন না তারা।

জানতে চাইলে ভুক্তভোগী রবিউল বলেন, আমি প্রবাসে ছিলাম প্রায় ১৪ বছর। এ পর্যন্ত আমি আমার স্ত্রীকে ১৫ লক্ষ টাকা দিয়েছি এবং ১০ ভরি স্বর্ণ দিয়েছি। আমি যখন অসুস্থ অবস্থায় ক্লিনিকে ছিলাম সেসময় আমার স্ত্রী আমার সমস্ত সম্পদ নিয়ে বাবার বাড়ি চলে গেছে এবং আমার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মামলা করেছে।

তিনি বলেন, আমি বর্তমানে খুব সমস্যার ভেতর আছি। অর্থের অভাবে ডাক্তারের কাছে যেতে পারছি না। মামলা নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করতে হচ্ছে। আমি চাই আমার স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে ফিরে আসুক এবং আমার দেয়া সমস্ত সম্পদ আমাকে ফিরিয়ে দিক।

অসুস্থ স্বামীকে হাসপাতালে রেখে অর্থ হাতিয়ে স্ত্রী চলে যাওয়ায় হতবাক এলাকাবাসী। এ বিষয়ে জানতে স্ত্রী রিপা আক্তারের বাড়িতে গেলে ক্যামেরায় কথা বলতে রাজি হয়নি তার পরিবারের কেউ।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply