অবিশ্বাস্য এক ভিরাট! আবেগী এক ভিরাট

|

অবিশ্বাস্য ভিরাট

সর্বকালের অন্যতম সেরা ব্যাটারের খেতাব আগেই জুটে গেছে। তবে ব্যাডপ্যাচের সময়টাতে অনেকেই যেন ভিরাট কোহলির ক্যারিয়ারের শেষ দেখে ফেলছিলেন। পরামর্শও জুটছিল নানা দিক থেকে। এশিয়া কাপেই ছন্দে ফিরেছিলেন। যদিও দল ছিটকে পড়েছিল ফাইনালের আগেই।

এবার যেন নতুন মিশন নিয়ে আগাচ্ছেন ভিরাট। মগজে, মননে টিম ইনডিয়া। ফলে ব্যক্তিগত পাওয়া, না পাওয়ার হিসেবকে তুবড়ি মেরে কঠোর মনোবলের পরীক্ষা দিলেন আরও একবার। এবং বিশ্বমঞ্চে আরও একবার বীরের বেশে শেষ করে এলেন ম্যাচ। শেষ ৩ ওভারে ১৬ করে রান দরকার ছিল। সেটিই করেছেন। শেষ ৮ বলে ২৮’র সমীকরণের সময়ও দৃঢ়চেতা এক যোদ্ধা। ৫৩ বলে ৮২ রানের ইনিংসটি যতটা না স্ট্রাইক রেটের কারণে তার চেয়ে বেশি বিশেষ হয়ে উঠেছে ম্যাচ পরিস্থিতির কারণে। আর সবকথার শেষ কথা, এটি ভারত-পাকিস্তান মহারণ। ফলে কোহলির ৬ চার ও ৪ ছয় ম্যাচের ইনিংসটি নিশ্চিতভাবে ঠাঁই করে নিলো ইতিহাসের পাতায়।

আবেগ ছুঁয়ে গেলো ভিরাটকেও। পরিস্থিতিটাকে ‘স্যুররিয়ালিস্টিক’ মনে হচ্ছে উল্লেখ করে ম্যাচ শেষে ব্রিফিংয়ে বললেন, আমি সত্যিই জানি না কীভাবে এটা হয়েছে। আমি শব্দ হারিয়ে ফেলছি। আমার ধারণা নেই এটা এভাবে হয়েছে। হার্দিক আমাকে বলেছিল শেষ পর্যন্ত থাকলে কিছু হবে।

ম্যাচ যখন শুধু গাণিতিক হিসেবে টিকে ছিল তখনও ১৯-তম ওভারে হারিস রউফকে বল হাতে নিতে দেখে আশা হারাননি ভিরাট। বললেন, শেষ ওভারে নওয়াজই করবে সেটি তখন নিশ্চিত হয়ে যাই। চেষ্টা করে গেছি। বাকিটা বলার ভাষা নেই।

চাপের মধ্যে খেলা এই ইনিংসটিকে নিজের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা বলেই উল্লেখ করলেন ভিরাট। ভুলে যাননি সমর্থকদেরও। বিশেষ করে দুঃসময়ে যারা পাশে ছিল তাদের জানালেন কৃতজ্ঞতা।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply