আরও শক্তিশালী আকার ধারণ করেছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। এর জেরে দক্ষিণের ১৩ জেলা এবং মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে দেখাতে বলা হয়েছে ৬ নম্বর সংকেত। সোমবার (২৪ অক্টোবর) আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ সতর্ক বার্তা জারি করা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়টি মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যার মধ্যে যেকোনো সময় বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত করতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। ফলে দেশের উপকূলীয় জেলাগুলো উঁচু জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-এর ফলে ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি এবং বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে সারাদেশে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে দমকা/ঝড়ো বাতাস বয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার পর্যন্ত অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
তবে দুর্যোগপ্রবণ এ সময়ে সতর্কবার্তা সম্পর্কে ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরি। আবহাওয়া অফিসের ৬ নম্বর বিপদ সংকেতের অর্থ হলো, অল্প বা মাঝারি ধরনের ঝড় হবে এবং আবহাওয়া দুযোগপূর্ণ থাকবে। ঝড়টি চট্টগ্রাম বন্দরের উত্তর দিক দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে। মংলা বন্দরের ক্ষেত্রে পশ্চিম দিক দিয়ে বয়ে যাবে। অন্যদিকে, ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করা হয় যখন অল্প অথবা মাঝারি ধরনের ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা থাকে এবং এ কারণে আবহাওয়া দুর্যোগপূর্ণ থাকে। ঘূর্ণিঝড়টি সমুদ্রবন্দরের খুব কাছ দিয়ে অথবা উপর দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে। এ সময় বন্দরে তিনটি লাল পতাকা দেখানো হয়।
এসজেড/
Leave a reply