ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং আঘাত হানার পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে আবহাওয়া পরিস্থিতি। রাজধানীতে মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকালে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। ইতোমধ্যে ঢাকার আকাশে রোদের দেখা মিলছে। তবে আকাশে বিক্ষিপ্তভাবে মেঘও রয়েছে।
সোমবার মধ্যরাত পর্যন্ত টানা বৃষ্টি হওয়ায় রাজধানীর অনেক এলাকায় এখনও জলাবদ্ধতা রয়েছে। নিউমার্কেট-নিলক্ষেত এখনও পানিতে তলিয়ে আছে। এছাড়াও রাজধানীর অনেক অলিগলিতে জলাবদ্ধতায় ভোগান্তিতে পড়েছে মানুষ। বিভিন্ন সড়কে গাছ ভেঙে পড়ায় ব্যাহত হয় যান চলাচল। সিটি করপোরেশনের কর্মীরা উপড়ে পড়া গাছ কেটে সরিয়ে নিয়েছে। বিকেলের মধ্যে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এদিকে, আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেল নাগাদ সিত্রাংয়ের অস্তিত্ব বিলিন হয়ে যাবে। আবহাওয়া অধিদফতরের উপ-পরিচালক ছানাউল হক মণ্ডল জানান, স্থল ও জলসীমা মিলিয়ে বাংলাদেশে মোট ১৫ ঘণ্টা অবস্থান করে সিত্রাং। সোমবার রাত ৯টা থেকে মঙ্গলবার ভোর ৬টা পর্যন্ত বাংলাদেশে সক্রিয় অবস্থান করে ঘূর্ণিঝড়টি।
এ সময় বাংলাদেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় বরিশাল বিভাগে, ৩২৪ মিলিমিটার। এছাড়া ঢাকায় ২৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের এ উপ-পরিচালক আশা প্রকাশ করে বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ উপকূলীয় জেলাসহ দেশের আবহাওয়া পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
দেশ সিত্রাংমুক্ত হওয়ার পর বেরিয়ে আসছে ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন। এ ঘুর্ণিঝড় উপকূলে-উপকূলে চালিয়েছে তাণ্ডব। দেশের পাঁচ জেলায় ১৩ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। এরমধ্যে কুমিল্লার লাঙ্গলকোটে গাছ চাপা পড়ে একই পরিবারের ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল হতেই মানুষজন আশ্রয় কেন্দ্র থেকে বাড়ি-ঘরে ফিরছেন।
এরইমধ্যে কমানো হয়েছে সতর্কসংকেত। সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। তবে, সাতক্ষীরা-খুলনাসহ উপকূলের ১৩ জেলায় ৭ নম্বর এবং চট্টগ্রাম-কক্সবাজারে ৬ নম্বর বিপদসংকেত বহাল রেখেছে আবহাওয়া অফিস।
/এমএন
Leave a reply