রৌমারীতে ম্যাজিস্ট্রেটের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ, মামলা

|

স্টাফ করেসপনডেন্ট, কুড়িগ্রাম:

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেট আব্দুল হাইয়ের বিরুদ্ধে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও রৌমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় একটি মামলা করা হয়েছে।

জানা গেছে, গত ৫ অক্টোবর অভিযুক্ত আব্দুল হাই নিজেকে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরিচয়ে রৌমারী থানা মোড় এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসান। সেখানে অবস্থিত বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভাণ্ডার ও ভাগ্যকুল মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের মালিককে বিভিন্ন অব্যবস্থাপনার অভিযোগ করে জেল ও দোকান সিলগালা করার ভয় দেখান। এতে ভয় পেয়ে বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভাণ্ডার মালিক মিঠু মিয়া মোবাইল ব্যাংকিংয়ে (বিকাশ) ৩৫ হাজার টাকা এবং ভাগ্যকুল মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের মালিক সুজন মিয়া ৩০ হাজার টাকা প্রদান করেন।

এ সময় আব্দুল হাইয়ের আচরণ সন্দেহজনক মনে হওয়ায় স্থানীয়রা তাকে আটক করে। পরে রৌমারী সদর ইউনিয়নের সদস্য রবিউল করিম ও রবিউল ইসলাম রানা টাকা ফেরত দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আব্দুল হাইকে ছাড়িয়ে আনেন। এ সময় অভিযুক্ত আব্দুল হাই উপস্থিত জনতা ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে ২টি দোকান থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করেন।

এ ঘটনায় কুড়িগ্রাম চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. সুমন আলি একটি মামলা দায়ের করেন। এবং এ ঘটনার তদন্তের জন্য রংপুর পিবিআই পুলিশ সুপারকে নির্দেশ প্রদান করেন। আগামী ১১ নভেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে রৌমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার পূবণ আখতারকে নম্বরে একাধিকবার ফোন করে এবং ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েও তার মতামত পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, বিষয়টি আমি জানার পরপরই রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ঘটনাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। এখন পর্যন্ত প্রতিবেদন আমার হাতে পৌঁছায়নি। এ ব্যাপারে তদন্ত প্রতিবেদন সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এএআর/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply