স্টাফ করেসপনডেন্ট, শরীয়তপুর:
জেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শরীয়তপুরের নড়িয়ায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে দুই পক্ষ অন্তত শতাধিক ককটেল বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। এ সময় পুলিশসহ ১৫ জন আহত হয়।
শরীয়তপুরে (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলা সদরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বাদশা শেখ ও তার মেয়ের জামাই উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মামুন মোস্তফার সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নড়িয়া থানার উপ-পরিদর্শক ফরহাদ হোসেন ও কনস্টেবল জুয়েল ককটেলের স্প্লিন্টারের আঘাতে আহত হয়েছেন এবং দুই পক্ষের অন্তত আরও ১৩ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৪০ রাউন্ড শটগানের ফাঁকা গুলি ছুড়েছে। এছাড়া পুলিশ ১০টি ককটেল বোমা উদ্ধার করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও মোক্তারের চর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বাদশা শেখ ও তার জামাতা মামুন মোস্তফা নড়িয়া কলেজের সাবেক ভিপি ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে জেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে ঝামেলা চলছিলো। গত জেলা পরিষদের নির্বাচনে মামুন মোস্তফা ও বাদশা শেখের ছেলে পৌরসভা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইউনুছ শেখ সদস্য পদে নির্বাচন করেন। দুইজনই নির্বাচনে পরাজিত হন। পরিষদের নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার জের ধরে বুধবার দুই পক্ষ সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলা সদরের কীর্তিনাশা নদীর তীর ও ভাষা সৈনিক গোলাম মাওলা সেতুর ওপর সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় ৩০ মিনিটের সংঘর্ষে দুই পক্ষ অন্তত শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। খবর পেয়ে পুলিশ ৪০ রাউন্ড শটগানের ফাঁকা গুলি ছুড়ে দুই পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, বাদশা শেখের ছেলে ইউনুছ এবং তার জামাতা মামুন মোস্তফার মধ্যে জেলা পরিষদের নির্বাচন নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্যসহ ১৫ জন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৪০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়তে হয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এটিএম/
Leave a reply