সিডনিতে যেন নিউজিল্যান্ডের সব ব্যাটার খেলেছেন এক পিচে, আর গ্লেন ফিলিপস ব্যাট করেছেন আরেক পিচে। বাকিরা যেখানে লঙ্কান বোলিংয়ে গলদঘর্ম, সেখানে অসাধারণ সেঞ্চুরিতে একার কাঁধে নিউজিল্যান্ডের ইনিংস টেনে নিয়ে গিয়েছেন গ্লেন ফিলিপস। ৬৪ বলে ফিলিপসের ১০৪ রানের ওপর ভর করে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬৭ রান সংগ্রহ করেছে নিউজিল্যান্ড।
২০ ওভারের প্রায় অর্ধেক বল মোকাবেলা করে দলীয় সংগ্রহের দুই-তৃতীয়াংশ রানই করেছেন মিডল অর্ডারে নামা মারকুটে ব্যাটার গ্লেন ফিলিপস। কিন্তু তার আগে পরিস্থিতি ছিল ভিন্ন। বাঁচা-মরার ম্যাচে সেভাবেই শুরু করেছিল শ্রীলঙ্কা। টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে শুরুতেই লঙ্কান বোলিং তোপে দুই ইনফর্ম ওপেনার ফিন অ্যালেন ও ডেভন কনওয়ের সাথে অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে হারিয়ে ধাক্কা খায় কিউইরা।
থিকসানার বলে ১ রান করে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার ফিন অ্যালেন। দারুণ ফর্মে থাকা কনওয়েও মাত্র ১ রান করে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার বলে বোল্ড হয়েছে। দলের দুর্দশা আরও বাড়িয়ে কাসুন রাজিথার বাড়তি বাউন্সে উইকেটের পেছনে কুশল মেন্ডিসের হাতে ধরা পড়েন কেন উইলিয়ামসন।
এরপর চতুর্থ উইকেট জুটিতে ড্যারিল মিচেলকে নিয়ে পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন গ্লেন ফিলিপস। তবে লঙ্কান ফিল্ডারদের হাতে একাধিকবার জীবন পেয়েছেন ফিলিপসসহ অন্যান্য ব্যাটাররা। দলীয় ৯৯ রানের মাথায় মিচেল সাজঘরে ফেরত গেলে আক্রমণের গতি বাড়িয়ে দেন ফিলিপস। মিচেলের আগে এবং পরে কেউই যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেনি ফিলিপসকে।
তবে গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে যেন একাই লঙ্কানদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যান এই ব্যাটার। ৩৯ বলে অর্ধশতক হাঁকানোর পর ৬৪ বল খেলে যখন শেষ ওভারে সাজঘরে ফেরেন তিনি, নামের পাশে তখন জ্বলজ্বল করছে ১০৪ রান! সেঞ্চুরি পূর্ণ করার পর গ্লেন ফিলিপসের বুনো উল্লাসেই পরিষ্কার, তার নিজের এবং দলের জন্য কতটা বিশেষ এই শতক। ১০টি চার ও ৪টি ছয়ের এই ইনিংস ব্যতীত শ্রীলঙ্কার বোলাররা খারাপ করেননি। তবে ক্যাচিংয়ের সাথে গ্রাউন্ড ফিল্ডিং নিয়েও ভাবতে হবে দাসুন শানাকার দলকে।
আরও পড়ুন: গাদ্দাফির পিচ তুলে নিয়ে অস্ট্রেলিয়া যাও, বাবরকে ধুয়ে দিলেন আকরাম
/এম ই
Leave a reply