রিমন রহমান:
বাজারে চিনি পাওয়া যাচ্ছে না। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরেই চলছে এই সংকট। দু-একটি দোকানে পাওয়া গেলেও তা বিক্রি করা হচ্ছে উচ্চ দামে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, চিনির সরবরাহ কমে যাওয়ায় এই সংকট তৈরি হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মহাখালীর স্কুল রোডের মদিনা জেনারেল স্টোরে ১৫ দিন ধরে চিনি নেই। দাম নিয়ে ক্রেতাদের সাথে বাক-বিতণ্ডায় চিনি বিক্রিতে আগ্রহই হারিয়েছেন দোকানের বিক্রেতা। তিনি বলেন, চিনি নেই, কিনতেও পারছি না। পেলেও খোলা চিনির বস্তা এখন ৫ হাজার ২০০ টাকা। এতো টাকা দিয়ে সাধারণ মানুষও তো কিনতে পারবে না।
মহাখালীর অন্যান্য দোকানে গিয়েও দেখা গেছে একই চিত্র। বলা হচ্ছে, এখন চিনির দাম বেশি, কিন্তু সরবরাহ নেই। স্বল্প পরিমাণে মজুদকৃত চিনিও ছোট ছোট প্যাকেটে করে বিক্রি করছেন কোনো কোনো দোকানী। এতে কেজিপ্রতি দাম দাঁড়াচ্ছে ১৩০ টাকা।
এ নিয়ে সরকারের তরফ থেকে বলা হচ্ছে, চিনির মজুদ পর্যাপ্ত আছে। কিন্তু বাজারে বিপরীত চিত্র দেখা যাচ্ছে। দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে ট্যারিফ কমিশন। কিন্তু এই দামে কোথাও চিনি পাওয়া যাচ্ছে না।
সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাজারে অভিযান পরিচালনা করছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে চিনির ঘাটতি নেই। কিন্তু মিল পর্যায় থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে না নিত্য প্রয়োজনীয় এই পণ্য।
এসজেড/
Leave a reply