গ্লেন ফিলিপসের একার লড়াই দেখলো না পূর্ণতা। জস বাটলারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের পর স্যাম কারেন-ক্রিস ওকসদের দারুণ বোলিংয়ে নিউজিল্যান্ডকে ২০ রানে হারিয়ে সেমিফাইনালে যাওয়ার আশা বাঁচিয়ে রাখলো ইংল্যান্ড। অধিনায়ক বাটলারের ৭৩ রানে ভর করে কিউইদের সামনে ১৮০ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল ইংলিশরা। জবাবে, ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রানের বেশি করতে পারেনি কেন উইলিয়ামসনের দল।
নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার ফিন অ্যালেন ও ডেভন কনওয়ে আছেন ভালো ফর্মে। তবে এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে হাসেনি তাদের ব্যাট। কেন উইলিয়ামসনও নেই সেরা ছন্দে। ড্যারিল মিচেল এই আসরে এখনও ব্যাটে রান পাননি। কেবল আগুন ঝরা ফর্মে থাকা গ্লেন ফিলিপস এই ম্যাচেও দেখিয়েছেন তার সামর্থ্য। ৮ রানে কনওয়ে এবং ২৮ রানে অ্যালেনের বিদায়ের পর কেন উইলিয়ামসনকে নিয়ে পাল্টা আক্রমণে গ্যাবার চারপাশে বল পাঠিয়ে কিউইদের জয়ের আশা উজ্জ্বল করেন ফিলিপস। গড়েন ৯১ রানের জুটি।
কিন্তু অ্যাঙ্করের ভূমিকাই কেবল পালন করা কেন উইলিয়ামসন ফিরে যান ৪০ বলে ৪০ রান করে। তারপর কেবল রান-বলের সমীকরণ কঠিনই হয়েছে নিউজিল্যান্ডের জন্য। স্যাম কারেন বল হাতে তার দারুণ ফর্ম অব্যাহত রেখেছেন এই ম্যাচেও। সাথে পেয়েছেন ক্রিস ওকস ও মার্ক উডের সঙ্গ। কিন্তু ব্যাটিংয়ে একা লড়তে গিয়ে গ্লেন ফিলিপস ফিরে গেছেন ৩৬ বলে ৬২ রান করে। এই মারমুখী ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও ৩টি ছয়। এরপর কেবল কিউইদের পরাজয়ের ক্ষণ গণনা ছাড়া ছিল না কোনো অনিশ্চয়তা।
এর আগে, জস বাটলারের ৭৩ ও অ্যালেক্স হেলসের ৫২ রানে ভর করে নিউজিল্যান্ডকে ১৮০ রানের লক্ষ্য দেয় ইংল্যান্ড। কিউইদের পক্ষে লোকি ফার্গুসন নিয়েছেন ২টি উইকেট। এই ম্যাচে জমে উঠলো গ্রুপ ওয়ান থেকে সেমিফাইনালের লড়াই। নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া- ৩ দলই ৪ ম্যাচ খেলে পেয়েছে ৫ পয়েন্ট। তবে রান রেটের হিসেবে এখনও শীর্ষে কিউইরা। ২’এ ইংল্যান্ড ও ৩ নম্বরে আছে অস্ট্রেলিয়া। এছাড়া, ৪ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে আছে শ্রীলঙ্কা।
আরও পড়ুন: আমরা বিশ্বকাপ জিততে আসিনি, এই ম্যাচ জিতলে সেটাই হবে অঘটন: সাকিব
/এম ই
Leave a reply