ব্রাজিলে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা; পরাজয় স্বীকার করেননি জেইর বোলসোনারো

|

ছবি: সংগৃহীত

ভোটের ফলাফল চূড়ান্ত, কিন্তু ব্রাজিলের রাজনৈতিক অস্থিরতা সহসাই কাটবে এমন কোনো ইঙ্গিত নেই। নির্বাচনের ফল প্রকাশের দুদিন পরও পরাজয় স্বীকার করেননি জেইর বোলসোনারো। উল্টো কারচুপি আর ভোট জালিয়াতির অভিযোগ এনে বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভে নেমেছে তার সমর্থকরা। এমন পরিস্থিতিতে, শান্তিপূর্ণভাবে নব-নির্বাচিত লুলা ডি সিলভার হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। খবর ব্লুমকবার্গের।

রাজধানী ব্রাসিলিয়া থেকে সাও পাওলোর সর্বত্র যানবাহন ধমর্ঘট আর বিক্ষোভ-প্রতিবাদের মাধ্যমে অসন্তোষ ছড়াচ্ছে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জেইর বোলসোনারোর সমর্থকরা। রোববার (৩০ অক্টোবর) ঘোষিত ফলাফলে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে স্বল্প ব্যবধানে লুলা ডি সিলভাকে জয়ী ঘোষণার পরই রাজপথে নামেন তারা। অভিযোগ-নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় হয়েছে জালিয়াতি; ভোটচুরি করেছে বামপন্থীরা।

মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) নীরবতা ভাঙেন বোলসোনারো। পরাজয় স্বীকার করেননি, তবে ফলাফলও চ্যালেঞ্জ করেননি তিনি। এতে দেখা দিয়েছে নতুন অনিশ্চয়তা।

ব্রাজিলের সদ্য পরাজিত প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জেইর বোলসোনারো বলেন, পাঁচ কোটি ৮০ লাখ মানুষ আমাদের ভোট দিয়েছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। নির্বাচন প্রক্রিয়ার অন্যায়ের বিরুদ্ধে বর্তমানে চলছে প্রতিবাদ। কিন্তু, বামপন্থীরা আন্দোলনের নামে শুধু মানুষের ক্ষতি করে। যতোদিন আমি ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট থাকছি সংবিধান মেনে চলবো। অর্থনীতি-ধর্ম-মতাদর্শের স্বাধীনতা সমুন্নত রেখে কোটি ব্রাজিলিয়ানের নেতা হওয়াটা সত্য গৌরবের।

পরাজিত প্রেসিডেন্টের এমন বক্তব্য নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। সাধারণ ব্রাজিলিয়ানরা বলছেন, কৌশলে গণ্ডগোল ছড়ানোর পরিকল্পনা করছেন এ কট্টরপন্থি নেতা। অবশ্য শান্তিপূর্ণ উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানিয়েছে ব্রাজিলের ওয়ার্কাস পার্টি। দাবি, অস্থিরতা ছড়ানো গণতান্ত্রিক চর্চার অংশ নয়।

ওয়ার্কাস পার্টির প্রেসিডেন্ট গ্লেইসি হফম্যান বলেন, চিফ অব স্টাফ আগেই বিদায়ী প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া নিয়ে তার পরিকল্পনার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। ব্রাজিলে স্বাভাবিক পরিবেশ ফেরা জরুরি। নির্বাচনী ফলাফলকে কেন্দ্র করে উচ্ছৃঙ্খলা ছড়াতে পারে। ১৯৮৯ সাল থেকে লুলা ডি সিলভা লড়ছেন। কয়েকবার হারও স্বীকার করেছেন তিনি। কিন্তু, পূর্ণোদ্যমে ফেরত এসেছি আমরা; এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য।

গত রোববার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের রান-অফ বা দ্বিতীয় দফা ভোটগ্রহণে ৫০ দশমিক ৯ শতাংশ সমর্থন পান ব্রাজিলের বামপন্থী নেতা লুলা ডি সিলভা। ব্রাজিলের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার নাম ঘোষিত হয়। অন্যদিকে, জেইর বোলসোনারোর ভাগ্যে জোটে ৪৯ ভাগ ব্রাজিলিয়ানের সমর্থন। জানুয়ারিতে, আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব হস্তান্তরের কথা রয়েছে।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply